জলপাইগুড়ি: চিপস খাবে বলে আনন্দ করছিল। সেই মতো টাকা নিয়ে ছুটে গিয়েছিল চিপস কিনবে বলে। আর তখনই বিপত্তি। দশ চাকার লরি এসে পিষে দিল তাকে। মুহূর্তে শেষ ফুটফুটে প্রাণটা। আর এই ঘটনা নিয়ে পথ অবরোধ কে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ালো জলপাইগুড়ি মোহিতনগরের নাওয়াপাড়া এলাকায়। শিশুর দেহ নিয়ে পরিবার রাস্তায় বসেন। সাথে ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক পিযুশ মিশ্র ও স্থানীয় সিপিএম কর্মী ও এলাকার বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, মোহিত নগর ঝাঁ বাড়ি মোড় সংলগ্ন এলাকায় কয়েকটি হিমঘর রয়েছে। শনিবার সকালে স্থানীয় একটি হিমঘরে আলু রাখা হচ্ছে। ফলে এলাকায় যানজট রয়েছে। রাস্তার একদিক দিয়ে গাড়ি চলাচল হচ্ছে। শনিবার বেলার দিকে ওই রাস্তা দিয়ে দোকানে যাচ্ছিল অভি রাহুত নামে পাঁচ বছরের শিশুপুত্র। তখনই ১০ চাকার লড়ি পিষে দেয় বাচ্চাটিকে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। প্রতিবাদে বাচ্চার দেহ নিয়ে রাস্তায় বসে যায় পরিবার। এরপর তাদের রাস্তা থেকে স্থানীয় আলুর দালালরা তুলতে আসলে শুরু হয় বচসা। পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
যান নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত ব্যাবস্থা ও ক্ষতিপূরণের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ উঠে যায়। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, আলুর মরশুম হলেই প্রতিবার এই এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। জানা গেছে ওই বাচ্চাটির বাড়ি জলপাইগুড়ি হরিজন বস্তি এলাকায় থাকে। সে তার মার সঙ্গে মোহিত নগর এলাকায় থাকা মামাবাড়ি গিয়েছিল। তার পরেই এই দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা মতি দত্ত বলেন, “একটা দশ চাকার লরি এসে মেরে দিয়েছে। ও রাস্তা পেরচ্ছিল। চিপস কিনতে যাচ্ছিল। তখনই লরিটি পিষে দিয়ে যায়।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক পিযুশ মিশ্র বলেন, “আগেই প্রশাসনকে এই উদ্বেগ জানিয়ে মেসেজ করেছিলাম। এটি খুব মর্মান্তিক দুঃখজনক ঘটনা। এই রাস্তাটা খুবই ব্যস্ততম। এখানে হিমঘর আছে। আগেই প্রশাসনকে বলেছিলাম কটা লরি ঢুকবে তা জানিয়ে রাখতে হবে। কিন্তু কোনও উদ্যোগই নেয়নি।”