Girl commits suicide: গভীর রাতে বাড়ি ফেরায় থাপ্পড় মেরেছিল মা, তার পরের ঘটনায় কান্নার রোল পরিবারে
Girl commits suicide: সপ্তমীকে ঠাকুর দেখে রাত ১২টার পর বাড়ি ফিরেছিলেন তুহিনা। এই নিয়ে তাঁকে বকাবকি করেন তাঁর মা রিনা রায়। মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় মেয়ে তুহিনা রায়ের। সেইসময় ওই যুবতীকে একটা থাপ্পড় মারেন তাঁর মা। এর পরই আচমকা মায়ের মাথায় বঁটি দিয়ে আঘাত করেন মেয়ে।
জলপাইগুড়ি: সপ্তমীতে ঠাকুর দেখে ফিরেছিলেন রাতে। সেজন্য শাসন করে মেয়েকে এক থাপ্পড় মেরেছিলেন মা। রাগে বঁটি দিয়ে মাকে কোপ মারেন মেয়ে। মাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তার কয়েকঘণ্টা পরই আত্মঘাতী হলেন মেয়ে। জলপাইগুড়ির ওল্ড পুলিশ লাইন এলাকার ঘটনা। মৃত যুবতীর নাম তুহিনা রায়।
জানা গিয়েছে, সপ্তমীকে ঠাকুর দেখে রাত ১২টার পর বাড়ি ফিরেছিলেন তুহিনা। এই নিয়ে তাঁকে বকাবকি করেন তাঁর মা রিনা রায়। মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় মেয়ে তুহিনা রায়ের। সেইসময় ওই যুবতীকে একটা থাপ্পড় মারেন তাঁর মা। এর পরই আচমকা মায়ের মাথায় বঁটি দিয়ে আঘাত করেন মেয়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় রিনা রায়কে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করান পরিবারের লোকজন।
ভোর রাতে বাথরুমে ঢুকে কেরোসিন তেল ঢেলে গায়ে আগুন লাগান তুহিনা। কিছুক্ষণ পর পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। মাকে আঘাত করে অনুশোচনায় তুহিনা এই চরম পদক্ষেপ করেন বলে প্রতিবেশীরা মনে করছেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর অম্লান মুন্সি বলেন, “গভীর রাতে বাড়ি ফেরায় বকাবকি করেছিলেন ওই যুবতীর মা। একটা থাপ্পড়ও মারেন। তখন রাগে হাতের কাছে থাকা বঁটি দিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করেছিল মেয়েটি। রিনা রায়কে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ভর্তি করার কথা জানান। তাই, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।” এই ঘটনায় কয়েক ঘণ্টা পরই চরম পদক্ষেপ করেন ওই যুবতী। তুহিনা কলকাতায় পড়াশোনা করতেন বলে জানান তিনি।