Jalpaiguri: ময়নাগুড়িতে প্রাথমিক শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
Jalpaiguri: তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা কেউ বলতে পারছে না। ধন্দে পরিবারের সদস্যরা। তবে আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে গোটা এলাকায়। মৃত শিক্ষকের স্ত্রীও স্কুলে পড়ান বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের বছর ১১ এর একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।
ময়নাগুড়ি: প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ময়নাগুড়ি পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। মৃত শিক্ষকের নাম শুভময় সেনগুপ্ত। বয়স ৪২ এর আশপাশে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নিজের বাড়িতে গলায় ওড়নার দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন ওই ব্যাক্তি। পরে বাড়ির লোকজন দেখে ফেললে তাকে তড়িঘড়ি ওড়না কেটে নামানো হয়। পরিবারের লোকেরাই দ্রুত তাঁকে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা কেউ বলতে পারছে না। ধন্দে পরিবারের সদস্যরা। তবে আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে গোটা এলাকায়। মৃত শিক্ষকের স্ত্রীও স্কুলে পড়ান বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের বছর ১১ এর একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। খবর গিয়েছে পুলিশ। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে। তবে কেন ওই ব্যক্তি আচমকা আত্মহত্যা করতে গেলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদেরও।
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন শুভময়বাবুর বন্ধু রবীন বোসও। বলছেন, “ও এই কাজ করবে এটা কোনওদিন ভাবতে পারিনি। ও তো আমাদের কত ভাল কথা বলত, ভাল ভাল বুদ্ধি দিত। সেই নিজে এটা করে ফেলবে বুঝতেই পারিনি। সকাল ৯টা নাগাদ খবরটা পাই। বাড়িতে কোনও সমস্যা আছে কিনা সেটাও কোনওদিন বলেনি। আমরা কতবার একসঙ্গে ঘুরতে গিয়েছি। কিন্তু, কখনও কিছুই বুঝতে পারিনি।”