Court Order: ধর্ষণ কাণ্ডে ঐতিহাসিক রায়, বড় সাজা ঘোষণা আদালতের

Nileswar Sanyal | Edited By: জয়দীপ দাস

Aug 30, 2024 | 8:55 PM

Court Order: নাবালিকার ভাইয়ের সামনেই ঘটে ওই ঘটনা। বাড়ি গিয়ে মায়ের কাছে সবটা খুলে বলে সে। খবর পেয়ে চা বাগানে এসে নাবালিকার খোঁজ শুরু হতেই দেখা যায় তখন চা বাগান থেকে পালাচ্ছে অভিযুক্ত। কিছুক্ষণের মধ্যে বাগানের ভিতর থেকেই মেয়েকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে মা।

Court Order: ধর্ষণ কাণ্ডে ঐতিহাসিক রায়, বড় সাজা ঘোষণা আদালতের
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: Facebook

Follow Us

ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়ির এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে ২৫ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ জলপাইগুড়ি জেলা পকসো আদালতের। শুক্রবার এই নির্দেশ দেন জলপাইগুড়ি পকসো আদালতের বিচারক ইন্দুবর ত্রিপাঠি। একইসঙ্গে তিনি ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন। অনাদায়ের আরও এক বছরের জেল। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ওই নাবালিকা তার ভাই ও অন্যান্য বন্ধুদের নিয়ে স্থানীয় একটি চা বাগানে চা গাছের ফুল তুলতে যায়। সেই সময়েই তাকে ধাওয়া করেছিল অভিযুক্ত যুবক। কিছুক্ষণের মধ্যেই মালিক এসেছে বলে চিৎকার করতে থাকে অভিযুক্ত যুবক। সেই চিৎকার শুনে বাকিরা পালালে সুযোগ বুঝে নাবালিকাকে চা বাগানের ভিতর টেনে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। তারপরই ওই কাণ্ড।  

নাবালিকার ভাইয়ের সামনেই ঘটে ওই ঘটনা। বাড়ি গিয়ে মায়ের কাছে সবটা খুলে বলে সে। খবর পেয়ে চা বাগানে এসে নাবালিকার খোঁজ শুরু হতেই দেখা যায় তখন চা বাগান থেকে পালাচ্ছে অভিযুক্ত। কিছুক্ষণের মধ্যে বাগানের ভিতর থেকেই মেয়েকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে মা। আহত অবস্থায় তাঁকে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানায় ধর্ষণের কথা। সেখান থেকে পাঠিয়ে দেয় জলপাইগুড়ি হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটি তার দিদিমার কাছে সব খুলে বলে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। গ্রেফতারও হয় ২৫ বছরের ওই যুবক। তারপর থেকে চলছিল মামলা। অবশেষে হল রায়দান। 

সরকার পক্ষের আইনজীবী দেবাশিস দত্ত বলেন, “অভিযুক্তের ২৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিচারক ওই নাবালিকা এবং তাঁর পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য জেলা লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলায় মোট ৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সমস্ত কিছু দেখেই এদিন বিচার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে এই সাজা শুনিয়েছেন। এই রায়ে খুশি নির্যাতিতার পরিবার।” অন্যদিকে আসামী পক্ষের আইনজীবী অভিনন্দন চৌধুরী জানাচ্ছেন, এই রায়ের বিরোধিতা করে তাঁরা উচ্চ আদালতের দারস্থ হচ্ছেন। 

Next Article