Jalpaiguri: মেঝেতে পড়ে এক মহিলা, তাঁর ওপরেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে আরও ৫-৬ মহিলা! ভরা বাজারে দোকানের ভিতরেই এসব দৃশ্য দেখে পথে নামলেন পুরুষরা

Nileswar Sanyal | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 16, 2024 | 5:48 PM

Jalpaiguri: রায়কত পাড়ার বাসিন্দা ডলি ভৌমিকের বাজারে একটি ফলের দোকান রয়েছে। রবিবার সকালে তিনি দোকানে বসেছিলেন। অভিযোগ, আচমকাই দুপুর বেলায় তাঁর দোকানে কয়েকজন মহিলা চড়াও হন। দোকান দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা।

Jalpaiguri: মেঝেতে পড়ে এক মহিলা, তাঁর ওপরেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে আরও ৫-৬ মহিলা! ভরা বাজারে দোকানের ভিতরেই এসব দৃশ্য দেখে পথে নামলেন পুরুষরা
দোকান মালিকের মেয়ে
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি:  ভরা বাজার। প্রতি দোকানেই কম বেশি লোক। হঠাৎই একটা ফলের দোকানের ভিতর থেকে গোঙানির শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন বাকি দোকানিরা। প্রথমটায় তাঁরা বিশেষ পাত্তা দেননি। পরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে যতক্ষণে আসেন, দেখেন, মহিলা দোকানদার মাটিতে পড়ে। তাঁর ওপরেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে রয়েছেন আরও পাঁচ ছ’জন মহিলা। দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান বাকি ব্যবসায়ীরা। পরে বুঝতে পারেন, ওই মহিলার দোকান জবরদখল করতে এসেছেন বাকি মহিলারা।  দোকান দখল করে নেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে মারামারি। আর তা নিয়ে তুমুল উত্তেজনা। প্রতিবাদে হল পথ অবরোধ। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা জলপাইগুড়ি ২ নম্বর ওয়ার্ডের রায়কত পাড়া এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়কত পাড়ার বাসিন্দা ডলি ভৌমিকের বাজারে একটি ফলের দোকান রয়েছে। রবিবার সকালে তিনি দোকানে বসেছিলেন। অভিযোগ, আচমকাই দুপুর বেলায় তাঁর দোকানে কয়েকজন মহিলা চড়াও হন। দোকান দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা।

ডলির সঙ্গে ওই মহিলাদের ঝগড়া শুরু হয়। তা থেকেই হাতাহাতি। অভিযোগ, ওই মহিলারা ডলিকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা শুরু করেন বলে অভিযোগ। ততক্ষণে জড়ো হয়ে যান অন্যান্য ব্যবসায়ীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় ডলিকে উদ্ধার করা হয়।

বর্তমানে ডলি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।আচমকা এই ঘটনার পর উত্তেজিত হয়ে ওঠে এলাকা। প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন আশপাশের দোকানদারেরা। যান ডলির প্রতিবেশীরাও। এরপর এলাকায় সব দোকান বন্ধ করে দিয়ে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা। খবর পেয়ে যায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ব্যবসায়ী ও ডলির প্রতিবেশীরা। ঘটনার পর এখন থমথমে হয়ে আছে গোটা এলাকা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে বাড়িতে তালা দিয়ে পলাতক অভিযুক্তরা। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আক্রান্ত ডলির মেয়ে বলেন, “দোকানটা আমার বাবার নামে। এই দোকান নিয়ে ২ মাস ধরে অশান্তি চলছে। আজ যখন ঘটনা ঘটেছে, আমি দোকান থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। তখন দোকানে আমার মা ও দিদি ছিল। আমি খবর পেয়ে এসে দেখে মা মাটিতে পড়ে গোঙাচ্ছে। জবরদখলকারীরা দোকানটা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। “

Next Article