Jalpaiguri Bear Panic: ড্রোন উড়িয়েও মিলল না খোঁজ, জলপাইগুড়িতে এখনও অধরা সেই ভালুক

Jalpaiguri Bear Panic: মঙ্গলবার ভোর থেকে নতুন করে ভাল্লুকের খোঁজে তল্লাশী শুরু হয়েছে। এবার ভাল্লুক খুঁজতে ড্রোন উড়িয়ে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

Jalpaiguri Bear Panic: ড্রোন উড়িয়েও মিলল না খোঁজ, জলপাইগুড়িতে এখনও অধরা সেই ভালুক
জলপাইগুড়িতে ভালুকের আতঙ্ক (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2021 | 10:17 AM

জলপাইগুড়ি: ড্রোন উড়িয়েও খোঁজ মিলল না তার। এখনও জলপাইগুড়ির ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে ভালুকের আতঙ্ক।  ১৯ নম্বর সেকশনেও ভালুকের পায়ের ছাপ মিলেছে। রাতভর তল্লাশিতে ২০ নম্বর সেকশনে ভালুকের খোঁজ মেলেনি। ১৯ নং সেকশনে পায়ের ছাপকে ঘিরে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে। ভাল্লুকের খোঁজে এবার আকাশ পথে ড্রোন দিয়ে তল্লাশিও চালায় বনদফতর।

মঙ্গলবার সকালে ১৯ নম্বর সেকশনে এক প্রাণীর পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। এদিন ভালুকের খোঁজে সোমবার রাতভর ২০ নম্বর সেকশনে তল্লাশি চালিয়েছেন কিন্তু সেগুলি ভাল্লুকের পায়ের ছাপ কিনা তা নিশ্চিত করেনি বনদফতর। তবে অজানা পায়ের ছাপকে ঘিরে নতুন করে ভালুকের আতঙ্ক ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে।

গতকাল সন্ধ্যার মুখে ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের ৪ জন চৌকিদার একসাথে কাজে যোগ দিতে আসছিল। সেই সময় তারা চা বাগানের ২০ নং সেকশনে পিচ রাস্তার ওপর একটি কালো লোমশ প্রাণীকে দেখতে পায়। তাঁদের সন্দেহ সেটি ভালুক।

এরপর তারা বিষয়টি চা বাগান কর্তৃপক্ষকে জানায়। বাগান কর্তৃপক্ষ বনদফতরকে খবর দিলে রাতেই এলাকায় এসে পৌঁছন বনদফতরের কর্মীরা। খবর পেয়ে আসে পুলিশ ও পরিবেশ কর্মীরা। রাতেই তাঁরা চা বাগানের ২০ নং সেকশন জুড়ে তল্লাশি চালায়। কিন্তু তাঁরা ভাল্লুকের দেখা পাননি।

মঙ্গলবার ভোর থেকে নতুন করে ভালুকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এবার ভালুক খুঁজতে ড্রোন উড়িয়ে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুরো ২০ নং সেকশন জুড়ে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও  কিছু পাওয়া যায়নি।

এরপর চা বাগানের ১৯ নং সেকশনে নতুন করে তল্লাশি শুরু করেন বনকর্মীরা। সেখানে চা গাছের ঝোপের কাছে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। যাকে ঘিরে নতুন করে ভাল্লুকের আতঙ্ক ছড়িয়েছে চা বাগানে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমি পৌনে ছটার সময়ে এদিকে আসছিলাম। এখানে একটা কালো মতো কিছু একটা জঙ্গলের মধ্যে চলে যেতে দেখা গেল। আমরা দূর থেকে ওতটা বুঝতে পারিনি। আবার ঘুরে জন্তুটা এদিকেই চলে এল। দেখে আমার ভালুকই মনে হয়েছে। আমরাই সাইকেল ঘুরিয়ে অন্য দিকে চলে গেল।”

বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “খবর আছে চার জন কর্মী এখানে ভালুক দেখেছেন। যেহেতু চার জন শ্রমিক দেখেছেন, তাই ব্যাপারটা উড়িয়ে দেওয়ার নয়। তাই আমরা তল্লাশি চালাচ্ছি। তবে একটাই অনুরোধ কোনও শ্রমিক যেন বন্য প্রাণীর কোনওরকম ক্ষতি না করেন।”

এর আগে গত বৃহস্পতিবার মালবাজারের গুডহোপ চা বাগানেও ভালুকের আতঙ্ক ছড়ায়। মাল স্কোয়াড এলাকা পাহারা দেয়। কুনকি হাতির সাহায্যে ভালুকটি খোঁজা হয়। বাগানের শ্রমিকরাই প্রথমে ভালুকটিকে দেখতে পান। পরে তাঁরা খবর দেন বন দফতরে।

নভেম্বরের শেষের দিকেই ডুয়ার্সের লোকালয়ে ভালুক ঢুকে পড়ে। গত শনিবারই ভালুকের হামলায় মৃত্যু হয় এক কিশোরের। তার পর সেই ভালুককেও পিটিয়ে মেরে ফেলে স্থানীয়রা। শনিবার ফের চা-বাগান এলাকায় ভালুক দেখে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। তবে এবার যাতে এরকম কোনও ঘটনা না ঘটে, তার জন্য তত্পর বনকর্মীরা।

আরও পড়ুন: আজও ঝলমলে আকাশ, জাঁকিয়ে পড়েছে শীত! বৃষ্টির কি কোনও সম্ভাবনা? স্পষ্ট করল আবহাওয়া দফতর