Jalpaiguri: আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে, অভিষেকের সভায় সেই সৈকত

Nileswar Sanyal | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 09, 2023 | 12:53 PM

Jalpaiguri: জলপাইগুড়ির সেই তৃণমূল নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায় ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সভা সৈকতের 'রাজনৈতিক স্বস্তি'র বার্তাবাহক।

Jalpaiguri:  আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে, অভিষেকের সভায় সেই সৈকত
অভিষেকের সভায় সৈকত

Follow Us

জলপাইগুড়ি: এক সমাজকর্মী দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তা নিয়ে এমনিতেই রাজনৈতিক অস্বস্তি ছিল জেলায়। এমনকি সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়কও। জলপাইগুড়ির সেই তৃণমূল নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায় ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সভা সৈকতের ‘রাজনৈতিক স্বস্তি’র বার্তাবাহক। সৈকত নিজে সেই ছবি তাঁর সামাজিক মাধ্য়মে দিয়েছিলেন, তারপর শুরু জোর রাজনৈতিক চর্চা। শনিবার আলিপুর দুয়ারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা ছিল। সেই জনসভার সভামঞ্চে অনেকের সঙ্গে ছিলেন যুব তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, সৈকতের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আত্মহত্যায় প্ররোচনা সংক্রান্ত মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

১ লা এপ্রিল জলপাইগুড়ির দুই সমাজ কর্মী সুবোধ ভট্টাচার্য এবং অপর্ণা ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছিলেন। তাঁরা সম্পর্কে বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের ভাই ও ভাই বউ। তদন্তে নেমে পুলিশ তাঁদের বাড়ি থেকে একটি ৪ পাতার সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। যেই সুইসাইড নোটে দম্পতি উল্লেখ করে গিয়েছিলেন, তাঁদেরকে একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে চাপ দিয়ে, তাঁর বাড়ির দলিল এবং ব্ল্যাঙ্ক চেক লিখিয়ে নেয় জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা যুব তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়-সহ মোট চারজন। টাকার জন্য চাপ দিয়ে মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছিলেন।

উদ্ধার হওয়া সেই সুইসাইড নোট দেখিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি বিধায়ক শিখা। একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ হন বিজেপি বিধায়ক। মর্মান্তিক এই ঘটনা সামনে আসতেই জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। ঘটনার পরদিন থেকে ধারাবাহিক আন্দোলনে নামে বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি।

অভিযোগ পেয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা সংক্রান্ত আইনে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। সৈকত-সহ চার অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি হয়।

বিজেপি জেলা সভাপতি বাপী বলেন, “সৈকত শিশু পাচার-সহ অন্যান্য বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। আজকে তার অত্যাচারে সমাজকর্মী দম্পতি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। পুলিশ ৩০৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে। কিন্তু গ্রেফতার করেনি। সৈকতকে নিয়ে আলিপুরদুয়ারে জনসভা করে গেলেন অভিষেক। এরপর আর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবে বলে মনে হয় না আর।”

ঘটনায় তৃণমূলের মুখপাত্র তথা জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সহকারি সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ করছে বিজেপি। সৈকতের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ নেই। তার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা সংক্রান্ত অভিযোগ উঠেছে মানেই সে দোষী তা নয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের ওপর আমাদের আস্থা আছে।”

Next Article