জলপাইগুড়ি: রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তা দাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ললিতা বাড়ি গ্রামে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাস সুশান্ত রায়ের। রোজকার মতো কাল রাতেও খাওয়া-দাওয়া করে সবে শুতে গিয়েছেন। একটু তন্দ্রা লাগতে না লাগতেই আচমকা বাইরে একটা বিকট আওয়াজ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখেন একটা বুনো দাঁতাল একেবারে তাঁদের বাড়ির ভিতরে ঢুকে এসেছে। তাঁর বিকট গর্জনে ততক্ষণে ঘুম ভেঙে গিয়েছে বাড়ির বাকি সদস্যদের। রাতের অন্ধকারে সাক্ষাৎ বিশালাকার দাঁতাল দেখে চোখ কপালে উঠে যায় সকলের। তড়িঘড়ি বাড়ি থেকে পালানোরও চেষ্টা করেন।
এদিকে ততক্ষণে সুশান্তের বাড়িতে ব্যাপক তাণ্ডব চালাতে শুরু করে দিয়েছে বুনো হাতিটা। মুহূর্তেই ভেঙে ফেলে ঘর। পালাতে গেলেও শুঁড় দিয়ে সুশান্তর স্ত্রীকে পেঁচিয়ে ফেলে হাতিটা। তবে বড়সড় ক্ষতির আগেই কোনও মতে হাতের হাত থেকে স্ত্রীকে বাঁচিয়ে নেন স্বামী। তড়িঘড়ি দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান। যদিও সুশান্ত ও তাঁর স্ত্রী দুজনেই রীতিমতো আঘাত পেয়েছেন হাতির হামলায়। তবে তাঁদের সাহসকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গ্রামের বাসিন্দারা। বাহবা দিচ্ছেন বনকর্মীরাও।
শেষে ঘরে থাকা সমস্ত খাবার খেয়ে ফের জঙ্গলে ফিরে যায় হাতিটা। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বনকর্মীরা। তাঁদের ধারনা কাছের বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল থেকেই এসেছিল দাঁতালটা। খিদের কারণেই এমনটা করে থাকতে পারে। এদিকে হাতির হানায় সর্বস্ব হারিয়ে ক্ষতিপূরণের দাবিও করেছে সুশান্তর পরিবার। বনকর্মীদের তরফে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।