
জলপাইগুড়ি: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল দাদুর বন্ধুর বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে সেই ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সেই নাবালিকা। এরপর অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। ২০১৯ সালের সেই ঘটনার রায় শোনাল আদালত। দোষীকে ২৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড শোনাল কোর্ট।
জানা গিয়েছে, দাদু-দিদার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত ওই নাবালিকা। সেই দাদুরই ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর দ্বারা ধর্ষিত হয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ে ছিল সে। ২০১৯ সালের জুন মাসে জলপাইগুড়ি শহরের বুকে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনায় গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার সাজা শোনালেন জলপাইগুড়ি র পকসো আদালতের বিচারক রিন্টু সুর।
পক্সো আদালতের সরকার পক্ষের আইনজীবী দেবাশীস দত্ত বলেন, “অভিযোগ দায়েরের সঙ্গে-সঙ্গে জলপাইগুড়ি মহিলা থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। কিন্তু ওই নাবালিকা তখন সাত মাসের গর্ভবতী ছিল। পরবর্তীতে তার সন্তান প্রসব হয়। এরপর মামলা চলে। উভয়পক্ষ শোনার পর আজ পক্সো আদালতের বিচারক মহামান্য রিন্টু সুর অভিযুক্তকে ২৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ডর নির্দেশ দেন। সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরও দুমাস কারাদণ্ড। সেই সঙ্গে নাবালিকার পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে ডিস্ট্রিক্ট লিগাল এইড সার্ভিস অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন।”