জলপাইগুড়ি: ঝড়বৃষ্টিতে গাছের পাতা ঝরে পড়েছিল। সকালে পাতা কুড়োতে গিয়েছিলেন গ্রামের মহিলারা। প্লাস্টিক, ঝড়া পাতা কুড়োতে গিয়ে উদ্ধার হয়েছে পাঁচশো টাকার বান্ডিল। আর কে নেবে সেই বান্ডিল, তা নিয়েই শুরু হয় অশান্তি। বান্ডিল নিয়ে চলতে থাকে টানাটানি। ব্যাপক হইচই শুনে জড়ো হয়ে যান আরও অনেকে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এনজিপি থানা এলাকায়। তবে সেই টাকা আসল না নকল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ সেই টাকা উদ্ধার করেছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শিলিগুড়ি পৌর নিগমের ৩৪ নং ওয়ার্ডের সূর্য সেন কলোনি দিয়ে বয়ে গেছে জোড়া পানি নদী। রবিবারে বিকালে ওই নদীর পাড়ে প্লাস্টিক কুড়োতে যায় কয়েকজন কিশোর। তারাই ওই টাকার বান্ডিলটি পায়। এরপর বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। কিশোরদের ওপর চড়াও হন স্থানীয় কয়েকজন। তাঁরা টাকার বান্ডিলটি এল, সেটি নকল তা দেখতে চায়।
কিন্তু ওই কিশোররাও ওই বান্ডিলটি ছাড়তে না চাইলে শুরু হয় চিৎকার চেঁচামেচি। এরপর প্রচুর মানুষ সেখানে ভিড় করেন। শুরু হয়ে যায় তাঁদের মধ্যেও কাড়াকাড়ি। এই খবর পৌঁছে যায় নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। ঘটনায় সিপি শিলিগুড়ি অখিলেশ চতুর্বেদি জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি জানতেন না। এই বিষয়ে আধিকারিকদের কাছ থেকে খোঁজ নেবেন বলে জানান তিনি।
ওই টাকাগুলি এলাকায় কীভাবে এল, পাঁচশো টাকাগুলি আদৌ আসল না নকল, জাল নোট হলে তা কীভাবে সেখানে এল, তা সবই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে জাল নোট পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।