
জলপাইগুড়ি: ধর্ষণের জেরে গর্ভবতী। আর এরপর প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করে সন্তান প্রসব নাবালিকার। মামলার মাত্র ৮ মাসের মাথায় দোষীকে ২৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালত।
ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে মাস আটেক আগে ধূপগুড়িতে বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি তার প্রতিবেশী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এরপর তাকে নানা রকম ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এইভাবে মাস ছয়েক চলার পর ১৬ বছরের ওই নাবালিকার শরীরে অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তার বাড়ির লোকেরা। এরপর তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানিয়ে দেয় সে গর্ভবতী। বাড়ির লোক ওই নাবালিকাকে চেপে ধরলে সে জানায় প্রতিবেশী কাকুর ‘কু কীর্তির’ কথা। এরপর বাড়ির লোকেরা ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। উভয় পক্ষ শোনার পর আজ জলপাইগুড়ি বিশেষ পক্সো আদালতের মহামান্য বিচারক রিন্টু সুর অভিযুক্তকে ২৫ বছরের জন্য কারাদণ্ডর নির্দেশ দেন।
জলপাইগুড়ি বিশেষ পক্সো আদালতের সরকারি আইনজীবী দেবাশীস দত্ত বলেন, “এই মামলায় মাত্র ৮ মাসের মাথায় সাজা ঘোষণা হল। বিচারক তাঁর রায়দানের সময় এই নাবালিকা কী ধরনের শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করেছে তা উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে এই নাবালিকা এখনও মানসিক যন্ত্রণায় আছেন। বিচারক অভিযুক্তকে ২৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন, সঙ্গে জরিমানা। অনাদায়ে আরও দুই বছরের সাজার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে নাবালিকাকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরনের জন্য লিগাল এইড সার্ভিসকে নির্দেশ দিয়েছেন।”