
জলপাইগুড়ি: দশ বছর পরেও আসামী ফেরার কেন? মাদক মামলায় কোচবিহার পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে ঘটনার সিট গঠন করল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চ। তদন্ত করবে জেলা পুলিশের গঠন করা সিট। তদন্ত হবে সিবিআইয়ের ডেপুটি ডিজির তত্ত্বাবধানে। তদন্ত চলাকালীন কেস ডায়েরি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিশ। ২০১৩ সালে ১৫ মে ৪৫৫০ বোতল কাফ সিরাফ উদ্ধার করে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ঘটনায় গাড়ির চালক সুশান্তকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তারপর পালিয়ে যায় এই মামলায় বাকি অভিযুক্ত দুই ভাই পবন কুমার আগরওয়াল ও রমেশকুমার আগরওয়াল।
দমদমের বাসিন্দা দুই ভাই কীভাবে পালাল? কেনই বা দশ বছরেও কেন গ্রেফতার করা গেল না, তা নিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আদালতেও প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ। একইসঙ্গে মামলা চলাকালীন কেস ডায়েরি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ডিভিশন বেঞ্চে ভর্ৎসিত হতে হয় পুলিশ কর্তাদের। বৃহস্পতিবার ঘটনার সিট গঠন করে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চ।
এর আগে হোমে এক কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্য় মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চ। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। নির্দেশে এও বলা থাকে, কবর থেকে সেই কিশোরের দেহ তুলে এনে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।