Jalpaiguri: সিগন্যাল গ্রিন, লাইনে প্রচুর মানুষ, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ব্রেক কষলেন ছুটন্ত কাঞ্চনকন্যার চালক, তারপর…
Jalpaiguri: রেলগেট খোলা থাকায় সেই সময় প্রচুর বাইক, সাইকেল এবং ছোট গাড়ি পারাপার করছিল সেই লাইনের ওপর দিয়ে। চালক টানা হর্ন দিতে থাকেন। ফলে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। প্রত্যক্ষদর্শী আজমত আনসারি বলেন, ‘ট্রেন টানা হর্ন না দিলে আমরা রেললাইনে উঠেই পড়তাম। আরও অনেক বড় বিপদ ঘটতে পারত। ’
জলপাইগুড়ি: দ্রুত গতিতে ছুটে আসছে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। লেভেল ক্রসিংয়ের গেট নামানো নেই জ্বলছে সবুজ বাতি। সেই ক্রসিং দিয়ে যাতায়াত করছে প্রচুর যানবাহন। বিপদ বুঝে তৎপরতার সঙ্গে জরুরি ব্রেক কষেন ট্রেন চালক। এড়ানো সম্ভব হয় বড় বিপদ। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলা। একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এবারে চালকের তৎপরতায় প্রাণ বেঁচে গেল অনেক পথযাত্রীর। ঘটনাটি চালশা থেকে মালবাজার স্টেশনে মধ্যবর্তী একটি লেভেল ক্রসিংয়ে।
মঙ্গলবার বিকালে ট্রেন চালক তথা ট্রেনের অন্যান্য কর্মীদের তৎপরতায় বরাত জোর প্রাণে বেঁচে যান বেশ কয়েকজন পথচারী। জানা গিয়েছে, শিয়ালদহগামী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস চালসার দিক থেকে প্রচণ্ড গতিতে মালবাজারের দিকে যাচ্ছিল। এই পথে চা বাগানের ভেতর দিয়ে বেশ কয়েকটি রেলগেট রয়েছে। এমনই একটি রেলপথ শোনগাছি চা বাগান এলাকায়। হঠাৎ চালক দেখতে পান রেল গেট নামানো নেই। অথচ সিগন্যালে সবুজ বাতি অর্থাৎ থ্রু পাস। রেল গেটের গার্ড পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে না থাকায় চালকের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। জরুবি ব্রেক কষে গাড়ি থামিয়ে দেন চালক। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেনটি প্রায় রেলগেট ছুঁয়ে গিয়েছে।
রেলগেট খোলা থাকায় সেই সময় প্রচুর বাইক, সাইকেল এবং ছোট গাড়ি পারাপার করছিল সেই লাইনের ওপর দিয়ে। চালক টানা হর্ন দিতে থাকেন। ফলে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। প্রত্যক্ষদর্শী আজমত আনসারি বলেন, ‘ট্রেন টানা হর্ন না দিলে আমরা রেললাইনে উঠেই পড়তাম। আরও অনেক বড় বিপদ ঘটতে পারত। ’
এদিন ট্রেন থামিয়ে নেমে আসেন চালক এবং অন্যান্য কর্মীরা। রেলের ম্যানুয়ালে বলা রয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে খোঁজ নিতে হবে গেটম্যানের। অনেক সময় অসুস্থতা বা অন্য কোনও গুরুতর কারণে গেটম্যান সিগন্যাল না দিলে এভাবেই সেই রেলকর্মীর খোঁজ নেন ট্রেনের চালক ও গার্ড। কিন্তু এক্ষেত্রে অভিযোগ, গেটম্যানের বহাল তবিয়তেই ছিলেন। তড়িঘড়ি নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইতে থাকেন ওই রেলকর্মী। কিন্তু ততক্ষণে খবর পৌঁছে গেছে স্টেশন পর্যন্ত।
সূত্রের খবর অভিযুক্ত রেলকর্মীর বক্তব্য, অন্যমনস্কতার জন্যই এই ভুলটি হয়েছে তাঁর। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেল দফতর। তবে দফতরের তরফে মুখ খুলতে রাজি হননি কেউ।