Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে জাপানি ‘থাবা’, মৃত ৩! কলকাতা থেকে ছুটে গেলেন আধিকারিকরা

Jalpaiguri: রবিবার কলকাতা থেকে জলপাইগুড়িতে যান চিকিৎসক তাপস রায়। সেখানে বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাও পরিদর্শন করে দেখেন তিনি। বলে রাখা ভাল, বর্তমানে মেডিক্য়াল চিকিৎসারত এনসেফালাইটিস রোগীও এই এলাকারই বাসিন্দা।

Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে জাপানি থাবা, মৃত ৩! কলকাতা থেকে ছুটে গেলেন আধিকারিকরা
জলপাইগুড়িতে পরিদর্শনে প্রতিনিধি দলImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Jul 21, 2025 | 7:26 AM

জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়িতে পড়ল জাপানি ‘থাবা’। প্রাণ গেল তিন জনের। কলকাতা থেকে ছুটে গেল প্রশাসনিক কর্তারা। কী এমন হয়েছে উত্তরে? জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের এই জেলায় এখন কামড় বসিয়েছে একটি ভিনদেশি রোগ। নাম জাপানি এনসেফালাইটিস। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত এই রোগের আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ জন। যাদের মধ্যে মৃত্য়ু হয়েছে ৩ জনের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তিন জনেই জলপাইগুড়ি সদর, ডাবগ্রাম ও বানারহাট এলাকার বাসিন্দা। বাকি দু’জন আক্রান্তের মধ্যে একজন আবার অনেকটা সুস্থবোধ করায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর অপরজন তিনিও আপাতত ভর্তি রয়েছেন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজেই। সেখানেই চিকিৎসা চলছে সেই সংক্রমিতের।

অন্য সকল রোগের তুলনায় এই পরিসংখ্য়ান কম হলেও, হঠাৎ এর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। ইতিমধ্য়েই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে রবিবার কলকাতা থেকে জলপাইগুড়িতে যান চিকিৎসক তাপস রায়। সেখানে বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাও পরিদর্শন করে দেখেন তিনি। বলে রাখা ভাল, বর্তমানে মেডিক্য়াল চিকিৎসারত এনসেফালাইটিস রোগীও এই এলাকারই বাসিন্দা।

চিকিৎসক মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম জ্বর ও সর্দি-কাশি। তারপর শরীরে স্নায়ুজনিত সমস্যা, সাড় হারানো এবং সেই থেকে পক্ষাঘাত। অবশেষে মৃত্যু। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেলে একজন জাপানি এনসেফালাইটিস রোগীর জীবন এই পথেই প্রবাহিত। কিন্তু এই ভিনদেশি রোগ গ্রাম বাংলায় ঢুকল কী করে?

সাধারণ ভাবে শূকরের শরীরেই এই রোগের সৃষ্টি হয়। আর যার বাহক হিসাবে কাজ করে মশা। এদিন রোগী মৃত্যুর জেরে এলাকায় থাকা শূকরের খাটালগুলি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এমনকি, যেখানে পরিদর্শনের গিয়েছিল স্বাস্থ্য় দফতরের প্রতিনিধি দল। ওই এলাকাতেও রাস্তার চারপাশে বহু শূকর চড়ে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। যার জেরে আশঙ্কা যাচ্ছে সেই দিকেই। ইতিমধ্যে প্রশাসনের নির্দেশের পরেও অবৈধ ভাবে সেখানে কোনও খাটাল চলছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে অভিযানে নেমেছেন আধিকারিকরা।