জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ফের কি টিকিট পেতে চলেছেন ডাক্তার জয়ন্ত কুমার রায়? রাজ্য সভাপতির ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে জোর চর্চা বিজেপির অন্দরে। দলীয় কর্মসূচি পালন করতে শনিবার জলপাইগুড়িতে আসেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন তিনি জলপাইগুড়ি শহরে মিছিল করেন। এরপর তিনি প্রকাশ্য সমাবেশ করেন। সেই সভামঞ্চ থেকে তিনি জলপাইগুড়ির বর্তমান সাংসদ ডাক্তার জয়ন্ত কুমার রায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এরপর সন্ধ্যায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক করবার পর কলকাতা ফেরার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানেই জয়ন্তবাবুর টিকিট পাওয়া নিয়ে চলা জল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। বলেন, আমাদের টিকিট দেওয়া নিয়ে নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। সেই পদ্ধতি মেনেই প্রার্থী নির্বাচিত হবে। এই নিয়ম আমার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে জয়ন্ত রায় গত পাঁচ বছরে যা কাজ করেছেন তাতে সার্ভে থেকে শুরু করে সব কিছুতেই জয়ন্ত বাবুর নাম আসবে।
দুয়ারে কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। ইতিমধ্যে রাজ্যের নেতাদের কাছে ৩৫ আসনে জেতার টার্গেট বেঁধে দিয়ে গেছেন অমিত শা। ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গে আশাতীত সাফল্য পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। তাই এবারেও উত্তরের আসনগুলি পুনরায় দখল করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
এদিকে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে সাফল্য পেলেও একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের দিকে ঘুরে যায় খেলা। পৌরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনেও খুব একটা ভাল ফল করতে পারেনি বিজেপি। সম্প্রতি, ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে জেতা আসন খোয়াতে হয় বিজেপিকে। এতেই কর্মীদের মধ্যে কিছুটা হতাশার আবহ তৈরি হয়। ফের কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে নতুন বছর পড়তেই উত্তরে বিশেষ কর্মসূচি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি।
দুর্নীতি ইস্যুকে সামনে রেখে আলিপুরদুয়ার জেলা দিয়ে চোর ধরো জেল ভরো ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আলিপুরদুয়ার জেলার পর গতকাল কোচবিহার জেলা হয়ে আজ অর্থাৎ শনিবার তিনি জলপাইগুড়ি জেলায় কর্মসূচি পালন করে গেলেন।