‘৩০ শতাংশ ভোটারকে খুশি করতে এমনটা করলেন’, মমতাকে এক হাত কৈলাসের
নেতাজীর জন্মদিনে ভিক্টোরিয়ায় এক অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্র মোদী-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বক্তব্য রাখতে ওঠার সময়, দর্শকাসন থেকে 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান ওঠে। এরপরই মমতা বলেন, এভাবে তাঁকে অপমান করা হয়েছে। তিনি কোনও বক্তব্য রাখবেন না।
শিলিগুড়ি: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজী-স্মরণ মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য না রাখা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। রবিবার শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। কৈলাসের দাবি, “৩০ শতাংশ ভোটারকে খুশি করতে মমতাজী এটা করেছেন।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বারবার সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তোলে বিজেপি। এদিনও নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে দাঁড়িয়ে সে সুরই শোনা গেল কৈলাসের গলায়। তাঁর কথায়, এ রাজ্যে ৭০ শতাংশ ভোটার বরাবরই উপেক্ষিত। তাই এই সরকারকে বদলানো দরকার। কৈলাস বলেন, “নেতাজীকে গোটা দেশ, গোটা বিশ্ব মানে। তাঁকে নিয়ে অনুষ্ঠানের একটা গরিমা রয়েছে। এখানে রাজনীতিকরণটা ঠিক নয়। এটা সত্যি দুর্ভাগ্যজনক। এরকম ঘটনা নেতাজীর অপমান।”
আরও পড়ুন: টিকা নিতে প্রবীণদের নামের তালিকা তৈরি হচ্ছে কলকাতায়
একইসঙ্গে কৈলাসের প্রশ্ন, “জয় শ্রী রাম ধ্বনিতে এমন কী আছে যে ওনার অপমান হল? ভারত মাতার জয় বললে কেন ওনার অপমান হয়।” বাংলায় অভ্যর্থনা জানাতে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেওয়া হয় বলেই দাবি এই বিজেপি নেতার।
কৈলাস বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিংবা সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেলকে স্বাগত জানাতেও জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। এটা ওনার রাজনৈতিক এজেন্ডা। সবটাই জেনে বুঝে করেছেন। এই রাজ্যের ৩০ শতাংশ ভোটকে খুশি করতেই তিনি এটা করেছেন।”