জলপাইগুড়ি: না প্রাণ বাঁচানো গেল না। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হল ছ’বছরের শিশুকন্যার। সোমবার থেকে একটানা লড়াই চলছিল তার। চিকিৎসায় কোনও রকম খামতি রাখেননি ডাক্তাররাও। তবে শেষ রক্ষা হল না। মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল ছোট্ট স্নেহা।
সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর মোট ৩৭ জন ভর্তি হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। আর আশঙ্কাজনক ছিল ছ’বছরের ওই শিশুকন্যা। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম ছিল তার। গতকাল থেকে তার শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলছিল শিশু রোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল। তবে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাকে। এই নিয়ে রেল দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১১।
স্বাস্থ্য কর্তা, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, চিকিৎসক সন্দীপ সেন বলেন, “পায়ে আঘাত থাকার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কালকে থেকেই মেডিক্যাল টিম অস্ত্রপচার করে বাচ্চাটির রক্তক্ষরণ বন্ধের চেষ্টা করে। পিকুতে ভর্তি ছিল। আজ সকালে তাকে হারিয়েছি আমরা।” উল্লেখ্য, গতকাল সকাল ৯টার আশপাশে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালগাড়ির ধাক্কা মারে। দুমড়ে-মুচড়ে যায় তিনটি বগি। ঘটনার পরই শোকবার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।