
জলপাইগুড়ি: মাধ্যমিকের তৃতীয় পরীক্ষা অঙ্ক। অঙ্ক পরীক্ষা দেওয়ার সময়েই আচমকা পেটে ব্যথা শুরু করে। পরিস্থিতি এমন হয়, পরীক্ষা হলেই বেঞ্চে লুটিয়ে পড়ে অভিজির রায়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষায় উঠে আসে ভয়ঙ্কর তথ্য। ডিওডেনাম ফুটো হয়ে গিয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। মাধ্যমিকের যেদিন চতুর্থ পরীক্ষা, সেদিই অপারেশন করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ডিওডেনাম ফুটো হয়ে মৃত্যু হয় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। নাম অভিজিৎ রায় (১৬)। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের পানবাড়ি এলাকায়।
জানা গিয়েছে. অভিজিৎ রায় এই বছর চ্যাংমারি হরেন্দ্রনাথ হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিল। তৃতীয় পরীক্ষার দিনই পেটের যন্ত্রনায় অসুস্থ হয়ে পড়ে অভিজিৎ। প্রথমে তাকে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখান থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অভিজিতের ডিওডেনাম ফুটো হয়ে গিয়েছিল। উল্লেখ্য, ডিওডেনাম হল ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম এবং সবচেয়ে ছোট অংশ। এটি একটি ফাঁপা নলাকৃতির অঙ্গ। ডিওডেনামের কাজ হল পাকস্থলী থেকে আসা খাবারকে আরও হজম করা। রাতে তার তড়িঘড়ি অপারেশন করা হয়। কিন্ত বুধবার সকালে মৃত্যু হয় ছাত্রের। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
অভিজিতের বাবা বলেন, “প্রচণ্ড পেটের ব্যথা হচ্ছিল। আমরা প্রথমে ওতোটাও বুঝতে পারিনি। প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যাই, তারপর সেখান থেকে নার্সিংহোমে। সকালে তো ওর নার্ভও পাচ্ছিল না। ”
কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, “স্টমাকের পর অংশ খাদ্যনালীর। ওখানে একটা বড় রকমের ফুটো হয়েছিল। সেখান থেকে বায়ু লিক করে পেটে জমতে থাকে। সেপসিস হয়ে যায়। ১০-১১ জন স্টাফ মিলে চেষ্টা করি। আমাদের মন খারাপ হয়ে রয়েছে।”