
জলপাইগুড়ি: কারও জ্বর, কারও পেটে ব্যাথা, বমি বমি ভাব। পরীক্ষা করলেই ধরা পড়ছে জন্ডিস। ঘরে ঘরে এই একই পরিস্থিতি। শিশু থেকে বৃদ্ধ অসুস্থ শতাধিক গ্রামবাসী। রীতিমতো ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। গ্রামীণ হাসপাতালে ক্রমাগত বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসকরাও জানাচ্ছেন, পেটের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন বহু রোগী।
জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা গ্রামপঞ্চায়েতের চেকরভিটা গ্রাম। গত ১৫-২০ দিনে শুধুমাত্র ওই গ্রামেই হেপাটাইটিস ও ল্যাপ্টোস্পাইরা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১৫০ জন। এই দুই রোগের জোড়া ফলায় বিদ্ধ গ্রাম। অভিযোগ, লিভারের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হওয়া এক মহিলার মৃত্যুও হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, এই গ্রামেই কেন এমন পরিস্থিতি? বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ওই গ্রামে মুরগির একটি হ্যাচারি রয়েছে, সেখান থেকেই ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। এক বাসিন্দা বলছেন, ‘হ্যাচারি থেকে ছড়াচ্ছে প্রবল দুর্গন্ধ। বাড়িতে টেকা যাচ্ছে না। ওই হ্যাচারি থেকেই মাছি উড়ছে। খাবারে বসছে। আর তার থেকেই ছড়াচ্ছে সংক্রমণ।’
রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে দাঁড়িয়ে এক বাসিন্দা বলেন, “এত মাছি যে মশারি টাঙিয়ে ভাত খেতে বসতে হয়। স্বাস্থ্য দফতর এটা খতিয়ে দেখুক। প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।”
রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক জানা, জ্বর, পেটে ব্যাথা নিয়ে অনেকেই ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। তাঁর বক্তব্য, পরিচ্ছন্নতার অভাবেই এই ধরনের লিভারের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেককে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। চিকিৎসকের দাবি, ৩৫০-৪০০ রোগী আসছে প্রতিদিন।