
ময়নাগুড়ি: ৬ মাসের মেয়েকে খুন করে শ্বাসনালী কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা মায়ের। চাঞ্চল্যকর ঘটনা ময়নাগুড়ি ব্লকের মাধবডাঙ্গা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের জল্পেশ এলাকায়। এখানেই শ্রীলঙ্কা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় গাড়ির চালক মলিন রায়ের সঙ্গে বছর তিনেক আগে বিয়ে হয় মৌমিতা রায়ের। মাস ছয়েক আগে তাঁদের এক কন্যা সন্তানও হয়। সেই কন্যা সন্তানকে খুনের অভিযোগ উঠেছে মৌমিতার বিরুদ্ধে।
পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার রাতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মলিন। সকালে বাড়ি ফিরে দেখেন দরজা বন্ধ। তা দেখেই সন্দেহ হয় তাঁর। অনেক ডাকাডাকি করেও কারও কোনও সাড়া শব্দ মেলেনি। শেষ পর্যন্ত দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। ভিতরের দৃশ্য দেখে চোখ কপালে উঠে যায় তাঁর।
দেখা যয়া মলিনের স্ত্রী গলার নলি কাটা অবস্থায় খাবি খাচ্ছে। পাশে পড়ে রয়েছে মেয়ের দেহ। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। অন্যদিকে মৌমিতার আঘাত গুরুতর থাকায় তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে শিলিগুড়ির এক বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। কিন্তু কী কারণে এত বড় কাণ্ড তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। এলাকায় চাপানউতোর। কেন মৌমিতা আচমকা এই কাণ্ড করলেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই। ঘটনার নেপথ্য কারণ জানতে খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার নেপথ্য়ে পারিবারিক কোনও বিবাদ নাকি অন্য কোনও কারণ তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।