Moynaguri: মানুষ জিতিয়েছেন, নিজে হাতে লাড্ডু বানিয়ে ওয়ার্ডবাসীকে খাওয়ালেন নির্দল কাউন্সিলর
Moynaguri Municipality: ময়নাগুড়ি রাজ্যের নতুন পুরসভা। এ বছরই প্রথমবার ভোট হল এই পুরসভায়।
জলপাইগুড়ি: তৃণমূলের দীর্ঘদিনের সমর্থক। দল প্রকাশিত পুরভোটের প্রথম প্রার্থী তালিকায় নামও ছিল ময়নাগুড়ি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তুহিনকান্তি চৌধুরীর। কিন্তু পরে দল আরও একটি তালিকা প্রকাশ করে। সেখান থেকে আচমকাই উধাও হয়ে যায় তাঁর নাম। এই ‘ধাক্কা’ কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি ময়নাগুড়ির এই সমাজসেবী। এরপরই সিদ্ধান্ত নেন নির্দলের হয়ে ভোটে দাঁড়াবেন। দলের সবরকম হুঁশিয়ারিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েই নির্বাচনে লড়েন এবং জয়ীও হন। ভোটে জেতার আনন্দে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তুহিনকান্তি চৌধুরী ১০ হাজার লাড্ডু বিলি করে জনসংযোগ করলেন নিজের ওয়ার্ডে।
পোশাকি নাম তুহিনকান্তি চৌধুরী হলেও এলাকায় তাঁর পরিচিতি ‘লাল্টুদা’ বলেই। সকলেই এক ডাকে চেনে। বেশ নামডাক রয়েছে তাঁর। কিন্তু পুরভোটের সময় হঠাৎই তৃণমূলের প্রথম তালিকায় নাম থাকা এবং দ্বিতীয় তালিকা থেকে বাদ পড়ায় কেমন একটা জট পেকে গেল সবকিছুর। এরপরই নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তুহিনকান্তি এবং জেতেনও।
সেই জয় এলাকাবাসীকে উৎসর্গ করে বাড়িতে ময়রা ডেকে ১০ হাজার লাড্ডুর বরাত দেন কাউন্সিলর। এরপর তা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘুরে বিলিও করেন তিনি। শনিবার অভিনব এই জনসংযোগে খুশি এলাকার লোকজন। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রার্থী তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার পর এলাকার লোকজনই তাঁকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বলেন।
ময়নাগুড়ি রাজ্যের নতুন পুরসভা। এ বছরই প্রথমবার ভোট হল এই পুরসভায়। ১৭টি ওয়ার্ড নিয়ে ময়নাগুড়ি পুরসভা। যার মধ্যে ১৬টি ওয়ার্ডেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। একটিতে জেতেন নির্দল প্রার্থী তুহিনকান্তি চৌধুরী। তিনিই একমাত্র নির্দল প্রার্থী যিনি তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটে লড়ে ৩০০’র বেশি ভোটে জেতেন।
তুহিনকান্তির বাড়িতে ময়রা এসে বোঁদে ভেজে সেই বোঁদে রসে পাক দিয়ে দেওয়ার পর এলাকাবাসী ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে দশ হাজার লাড্ডু বানিয়ে প্যাকিং করেছেন কাউন্সিলর নিজে। তুহিনকান্তি চৌধুরী বলেন, “মানুষ আমাকে জিতিয়েছেন। ওনাদের মিষ্টি মুখ করানোর জন্যই এই লাড্ডু তৈরি করা। মানুষের এই ঋণ তো কোনওদিনই শোধ করতে পারব না। তবে আমি মানুষকে খাওয়াতে ভালওবাসি। তাই সকলের সঙ্গে নিজে লাড্ডু বানাচ্ছি, প্যাকেটও করছি। আমার সঙ্গে আমার অনেক বন্ধুবান্ধব, দাদাও হাত লাগিয়েছেন।” স্থানীয় বাসিন্দা টাকু কুশারী বলেন, “লাল্টুবাবু শুধু এই ওয়ার্ডেরই নন, ময়নাগুড়ি শহরের মানুষেরও প্রিয়জন। উনি সমাজসেবী, খুব ভাল মানুষ। তাঁর জয়ে আমরাও শামিল হয়েছি।”
আরও পড়ুন: Madhyamik 2022: সোমবার থেকে শুরু মাধ্যমিক, সাংবাদিক সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা পর্ষদ সভাপতির