
জলপাইগুড়ি: গ্রামের শেষ প্রান্তে পড়ে শয়ে শয়ে জুতো। যা ঘিরে জল্পনার পাহাড় তৈরি হয়েছে জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের নগর বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অমরখানা গ্রামে। সামনেই নদী। আর নদী পেরলেই বাংলাদেশ। গত কয়েক মাস ধরে ঢাকায় বয়ে কত রক্ত, কত উত্তেজনা। এই জুতো কি তার স্মৃতি বয়ে এনেছে?
গত বছরেই পালাবদল হয়েছে বাংলাদেশে। দেশ ছেড়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের মাথায় চেপে বসেছেন মহম্মদ ইউনূস। আর তারপর চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব থেকে সংখ্যালঘু নিধন। কী চলেনি সেখানে। জেলমুক্ত হয়েছে তাবড় তাবড় জঙ্গিনেতারাও। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে যখন জমেছিল উত্তেজনার পাহাড়। সেই সময় ভয়ে ঘুম উড়েছিল এই সীমান্ত পাড়ের বাসিন্দাদেরও।
শনিবার দুপুরে শ’খানেক জুতো উদ্ধারের পর সেই পুরনো ‘ভয়ই’ আবার নতুন করে দানা বেঁধেছে ওই জলপাইগুড়ির অমরখানা গ্রামে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, কারা আনল, কারা ফেলে গেল কিছুই জানা নেই। পড়শি দেশের দিকেই সন্দেহ। চা বাগান, চাষের ক্ষেত, রাস্তার ধারে সর্বত্র এসে এই পুরনো জুতো ছড়িয়ে রেখে গিয়েছে তারা। যা ঘিরে রহস্য পাহাড় মাথা উঁচু করে ছিল দিনভর।
জানা গিয়েছে, জুতো-রহস্যকে কেন্দ্র করে সেই গ্রামে গুজবও ছড়িয়েছে বেশ কিছু। কেউ কেউ বলছেন, জুতোয় হয়তো ‘ভাইরাস’ মিশিয়ে পাঠিয়েছে তারা। তবে তার থেকেও আশঙ্কার এই জুতোর মালিকানাই কাদের? তাদেরই বা কী হল? ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। সেই প্রসঙ্গে নগর বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য সারথি রায় জানিয়েছেন, বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে।
এরপরই শনিবার রাতের দিকে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। জলপাইগুড়ির সুপারিনটেনডেন্ট উমেশ খান্ডবাহালে জানান, সেই জুতোর সঙ্গে উদ্ধার হওয়া সমস্ত বস্তাগুলি পর্যবেক্ষণ করেছে পুলিশ। সেখানে আর কিছুই পাওয়া যায়নি। উদ্ধার হওয়া জুতোগুলো সম্ভবত স্থানীয় যমুনা নদী হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের এই সীমান্তগ্রামে ঢুকে পড়েছে।