জলপাইগুড়ি: সোমবার হলদিবাড়িতে এক ভিখারির বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন এনআইএ (NIA) গোয়েন্দারা। তবে শুধু হলদিবাড়ি নয়। একই অভিযোগে গতকাল অভিযান হয় শিলিগুড়ি সংলগ্ন জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়িতেও।
এনআইএ সূত্রে খবর, হলদিবাড়ির বাসিন্দা সবুজ রায় নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে এনআইএ আধিকারিকরা। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নিউ জলপাইগুড়ি থানায়। সেখানে সবুজকে দফায়-দফায় দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে ফুলবাড়ি এলাকায় একটি বাড়ির সম্পূর্ণ একটি তলা ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। এদিন প্রথমে ওই বাড়ি ঘেরাও করে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।
প্রসঙ্গত, এনআইএ সূত্রে খবর, গত বছর ২০২৩ সালে আমেদাবাদে এটিএস তদন্তে নামে। সেই সময় ছ’জনকে গ্রেফতার করে এটিএস। তাঁরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক। ভুয়ো ভারতীয় নথিপত্র ব্যবহার করে থাকছিল এই দেশে বলে অভিযোগ। এদের জেরা করেই এটিএসের হাতে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাংলাদেশের বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে বা পাসপোর্ট ছাড়া ঢুকেছিল ভারতে। এদের সঙ্গে যোগ ছিল কট্টরপন্থী সংগঠনের। তদন্ত ভার যায় এনআইয়ের হাতে।সেই তদন্তে নেমে দেখা যায়, অভিযুক্তরা অসম ও উত্তরবঙ্গ দিয়ে ঢুকেছে ভারতে। কট্টরপন্থী যোগ খুঁজতে গিয়ে এক মহিলা সহ দু’জনের নাম উঠে আসে। যারা উপমহাদেশে ‘আলকায়দার হ্যান্ডলার’। এদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। এদের বিরুদ্ধে এআইএ চার্জশিট দেয়। সেই সূত্রেই গতকাল একদিকে বিশ্বজিৎ বর্মণ অন্যদিকে ফুলবাড়ির সবুজ বর্মণের বাড়ি যান গোয়েন্দারা।