Fake Training School: ‘পদ্মশ্রী’ সমাজকর্মীর ছবি লাগিয়ে রমরম করে চলছিল ভুয়ো স্কুল! পুলিশের দ্বারস্থ করিমুল হক

Nileswar Sanyal | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 22, 2023 | 8:01 AM

Fake Training School: অভিযোগ, প্রয়োজনীয় অনুমোদন ছাড়াই দিনের পর দিন চলছিল নার্সিং, প্যাথোলজি সহ বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং দেওয়ার কাজ। বিভিন্ন বিভাগে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করে নেওয়া হতো কয়েক লক্ষ টাকা।

Fake Training School: পদ্মশ্রী সমাজকর্মীর ছবি লাগিয়ে রমরম করে চলছিল ভুয়ো স্কুল! পুলিশের দ্বারস্থ করিমুল হক
পদ্মশ্রী করিমুল হক
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি: পদ্মশ্রী প্রাপ্ত সমাজকর্মীর ছবি ব্যবহার করেই চলছিল প্রতারণার ছক! জলপাইগুড়ির ভুয়ো নার্সিং ট্রেনিং স্কুল-কাণ্ডে এবার নয়া মোড়। জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন পদ্মশ্রী করিমুল হক। তাঁর অভিযোগ, বিনা অনুমতিতে তাঁর ছবি বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবহার করে প্রতারণা করছিল ওই নার্সিং-এর স্কুল। স্বাস্থ্য দফতরকেও লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, স্কুলের কর্ণধার শান্তনু শর্মার দাবি, করিমুল হক নিজেই তাঁর স্কুলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করেছেন, পুরস্কারও দিয়েছেন তাঁদের স্কুলে। এমনকী স্কুলের কিছু টাকা করিমুল হকের ছেলেকে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি শান্তনুর।

অভিযোগ, প্রয়োজনীয় অনুমোদন ছাড়াই দিনের পর দিন চলছিল নার্সিং, প্যাথোলজি সহ বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং দেওয়ার কাজ। দিশারি নার্সিং ট্রেনিং স্কুল নামে ওই স্কুল বিভিন্ন বিভাগে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করত। বিনিময়ে নেওয়া হতো কয়েক লক্ষ টাকা। ভিন রাজ্যেও প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হত বলে অভিযোগ। সরকারি চাকরি তো দূর, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও যখন ওই পড়ুয়াদের চাকরি মিলছিল না, তখনই অভিযোগগুলো সামনে আসতে শুরু করে। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর গত মঙ্গলবার তদন্তে নামে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর। দেখা যায় ওই স্কুলের কাছে নেই কোনও নথি। এরপরই স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এবার থানা দ্বারস্থ হয়েছেন পদ্মশ্রী করিমুল হক। তাঁর অভিযোগ, তাঁর অজ্ঞতার সুযোগ নিয়েই তাঁর বাড়িতে খোলা হয়েছিল ওই স্কুল। তাঁর অনুমতি ছাড়া ব্র‍্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে তাঁর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ জানান তিনি।

শান্তনু শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাঁর স্কুলকে বেস্ট নার্সিং ট্রেনিং স্কুল হিসেবে নিজেই পুরস্কার দিয়েছিলেন করিমুল হক। তাঁর আরও দাবি, নার্সিং ট্রেনিং স্কুল চালিয়ে যে টাকা তিনি পেয়েছিলেন তার অর্ধেক টাকা করিমুল হকের ছেলেকে ফোন পে-র মাধ্যমে দিয়েছিলেন তিনি। এই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি তাঁর কাছে রয়েছে বলেও দাবি করেন শান্তনু। এই একটি নয়, রাজ্য জুড়ে তাঁর আরও অনেক এমন স্কুল রয়েছে বলেও দাবি করেছেন শান্তনু শর্মা।

Next Article