গোটা পরিবার সংক্রমিত, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত যুবক পালালেন হাসপাতাল থেকে
অপ্রতীমের স্ত্রী জানান, তিনিও করোনায় (COVID-19) আক্রান্ত হয়ে প্রথমে সেফ হোমে ছিলেন। এখন হোম আইসোলেশনে আছেন।
জলপাইগুড়ি: ফের কোভিড (COVID-19) হাসপাতাল থেকে রোগী পালানোর অভিযোগ জলপাইগুড়িতে। যদিও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হস্তক্ষেপে তাঁকে উদ্ধার করে ফেরানো হয় হাসপাতালেই। চলতি মাসে জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতাল থেকে তিনজন রোগী পালানোর অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ ব্লকের কালীনগর এলাকার বাসিন্দা অপ্রতীম ঝাঁ নামে এক যুবকের পরিবার করোনা আক্রান্ত। সকলেই সেফ হোমে ছিলেন। এদিকে বাড়ির সকলে কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন অপ্রতীম। এরপরই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সেফ হোম থেকে সোমবার জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অভিযোগ, কোভিড হাসপাতালে ভর্তির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান অপ্রতীম। রাতে বিষয়টি পুলিশের নজরে আনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশের পাশাপাশি খোঁজ শুরু করেন পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার বিকেলে যুবককে খুঁজে পাওয়া যায়। তাঁকে বিশ্ব বাংলা কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে তদন্তে আসে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার ও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: ‘রাজ্যে একটা অন্যধরনের প্রশাসন চলছে, আমফান থেকে শিক্ষা নিয়েছি’, ইয়াস মোকাবিলায় তোড়জোড় শুভেন্দুর
অপ্রতীমের স্ত্রী জানান, তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথমে সেফ হোমে ছিলেন। এখন হোম আইসোলেশনে আছেন। সেফ হোমে যাওয়ার পর তাঁর স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। এসবের মধ্যেই সোমবার সকালে জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় স্বামীকে। বিকেলের পর থেকে তাঁর স্বামীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর হাসপাতালে ফোন করেন। সেখান থেকে বলা হয় তাঁর স্বামী নিখোঁজ। পুলিশি নিরাপত্তার পরও কী ভাবে এ ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অপ্রতীমের স্ত্রী।
অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস বলেন, পরিবারের অনুরোধের পরই ওই ব্যক্তিকে খুঁজতে বের হন তাঁরা। মঙ্গলবার বিকেলে খোঁজ শুরু করেন। কিছুক্ষণ পরই কোভিড হাসপাতাল থেকে খানিকটা দূরে থাকা ইন্দিরা কলোনি থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। যদিও এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।