TMC: যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি ‘পলাতক’, হুলিয়া জারি করতে চেয়ে আদালতে পুলিশ

Nileswar Sanyal | Edited By: Soumya Saha

Sep 13, 2023 | 9:14 PM

Jalpaiguri: বুধবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সেই চার্জশিটে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে রয়েছেন যুব তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। এবার তাঁর নামে হুলিয়া জারি করতে চেয়ে আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।

TMC: যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি পলাতক,  হুলিয়া জারি করতে চেয়ে আদালতে পুলিশ
তৃণমূল যুব নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করতে চাইছে পুলিশ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি: যুব তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি ‘পলাতক’। তাঁর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করার জন্য আদালতের অনুমতি চাইল পুলিশ। বুধবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সেই চার্জশিটে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে রয়েছেন যুব তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। এবার তাঁর নামে হুলিয়া জারি করতে চেয়ে আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে।

কিন্তু কেন হঠাৎ যুব তৃণমূলের ওই নেতার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করতে চায় পুলিশ? গত ১ এপ্রিলের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করেই যাবতীয় বিষয়ের সূত্রপাত। ওই দিন জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়া এলাকার দম্পতি সুবোধ ভট্টাচার্য ও অপর্ণা ভট্টাচার্য বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন। এই দম্পতি আবার সম্পর্কে ডাববাড়ি-ফুলগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়। ওই ঘটনার পর বিজেপি বিধায়ক জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চারজনের বিরুদ্ধে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ। সেই তালিকায় নাম ছিল যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতিরও।

এরপরও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার না করায় বিধায়ক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। অন্যদিকে আবার আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ও। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এদিকে ঘটনায় বাকি অভিযুক্তরা গ্রেফতার হলেও, যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়নি। এবার তাঁকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে হুলিয়া জারির আবেদন করল পুলিশ।

এই বিষয়ে পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে জানিয়েছেন, দম্পতির আত্মহত্যার মামলায় মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্য অভিযুক্তরা গ্রেফতার হলেও, সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে ধরা যায়নি। পুলিশ তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে বলেও জানান এসপি। তিনি আরও বলেন, ‘আদালতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করারও আবেদন জানানো হয়েছে। আদালতের অনুমতি পেলে, সেই প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হবে। এর আগে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।’

এই বিষয়ে বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পুলিশ চাইলে ওই যুব তৃণমূল নেতাকে অনেকদিন আগেই গ্রেফতার করতে পারত। আশপাশে ঘুরে বেরাতে দেখা গেলেও, পুলিশ গ্রেফতার করেনি। পরে ফেরার হয়ে গেল। আর এখন হুলিয়া জারি করতে চাইছে। যতদিন তৃণমূলের যুব নেতা হিসেবে উনি থাকবেন, পুলিশ কোনওভাবেই ওকে গ্রেফতার করবে না। আজ পর্যন্ত কেন পুলিশ গ্রেফতার করতে পারল না।’

অন্যদিকে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সদস্য তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, ‘বিষয়টি বিচারাধীন। পুলিশ নিজের কাজ করছে। প্রশাসন ঠিকভাবেই কাজ করছে। যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন, তাই এই নিয়ে মন্তব্য না করাই ভাল। বিরোধীরা বিরোধিতা করার জন্য বিভিন্ন অভিযোগ করে থাকে।’

Next Article