Jalpaiguri: উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে ফাটল, চরম ভোগান্তিতে পড়বেন পর্যটকরা
Jalpaiguri: স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি রবিবার বিকেলেই হঠাৎ করে লক্ষ্য করেন এলাকার বাসিন্দারা। এরপর তারা খবর দেন স্থানীয় থানায়।
জলপাইগুড়ি: শীতকাল পড়ে গিয়েছে। এই সময় প্রচুর মানুষের ঘুরতে যাওয়ার পছন্দের স্থানের তালিকায় পড়ে উত্তরবঙ্গ। তবে এবার একটু বিপাকে পড়তে হতে পারে পর্যটকদের। কারণ জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের করতোয়া সেতুতে ফাটল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়রদের। এরপর থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয় শিলিগুড়ি–গাজলডোবার মধ্যে যোগাযোগকারী করতোয়া সেতুতে যান চলাচল। সেতুর দুই দিকে ব্যারিকেড লাগিয়ে মাটি তুলে সেতুর মুখ বন্ধ করে দেয় পূর্ত দফতর। ঘুরপথে চলছে যান চলাচল।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি রবিবার বিকেলেই হঠাৎ করে লক্ষ্য করেন এলাকার বাসিন্দারা। এরপর তারা খবর দেন স্থানীয় থানায়। বিষয়টি পৌঁছে যায় পূর্ত দফতরের কর্তাদের কাছে। এরপর তারা সেখানে ছুটে আসেন।
পূর্ত দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন দীর্ঘদিনের পুরোনা এই সেতু। এখান দিয়ে প্রচুর ভারী যানবাহন চলাচল করে। সেতুটি বহনক্ষমতা হারিয়েছে। গার্ডারে ফাটল ধরে গিয়েছে। তাই এই মুহূর্তে কোনও গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া যাবে না। সেতুটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
অতি গুরুত্বপূর্ণ শিলিগুড়ি–গাজলডোবার এই সেতুটি এবার বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বিপাকে পড়বেন এই পথের যাত্রীরা। বিশেষ করে পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হবে। কারণ গাজলডোবাতে ‘ভোরের আলো’ পর্যটন প্রকল্প চালু হওয়ার পর এই রাস্তা দিয়ে প্রচুর পর্যটক যাতায়াত করেন। ডুয়ার্সের সঙ্গে ‘ভোরের আলো’ হয়ে শিলিগুড়ি, বাগডোগরা যেতে এই পথকেই বেছে নেন তাঁরা।
পূর্ত দফতরের জলপাইগুড়ির চিফ ইঞ্জিনিয়র অজিত সাহা বলেন, “কোনওভাবে এই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করা এখন যাবে না। বহু পুরোনো সেতু। বিপদ হতে পারে। এবার বিকল্প কি ব্যবস্থা সেটাই খতিয়ে দেখতে এসেছি। সারানো হবে নাকি ভেঙে নতুন করে সেতু বানানো হবে সবটাই এবার দেখার বিষয়। তবে এদিনের ফাটল আগেভাগে দেখাতে বড় দুর্ঘটনা থেকে রেহাই মিলেছে।”
সেতুটি বন্ধ করে দেওয়ায় যাত্রী দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। এবার বিকল্প আমবাড়ি হয়ে যাতায়াত করা হচ্ছে। এজন্য ক্যানাল রোডের উড়ালপুলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।