Ram Lalla and Saraswati Idols: ২২ ফুটের রামলালা আর ৫১ ফুটের সরস্বতী মূর্তি, নিরঞ্জন নিয়ে ফাঁপরে উদ্যোক্তারা

Jalpaiguri: জলপাইগুড়ি দমকল বিভাগের আধিকারিক রামেশ্বর পান্ডে জানান, "বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন। তাদের নির্দেশ এলেই আমরা কাজ করতে পারব। এখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া আমরা এভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে পারি না।"

Ram Lalla and Saraswati Idols: ২২ ফুটের রামলালা আর ৫১ ফুটের সরস্বতী মূর্তি, নিরঞ্জন নিয়ে ফাঁপরে উদ্যোক্তারা
এই দুই মূর্তি নিরঞ্জন নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Feb 20, 2024 | 6:33 AM

জলপাইগুড়ি: অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয় ২২ জানুয়ারি। আর জলপাইগুড়ির ৫ নম্বর ঘুমটি সংলগ্ন বামনপাড়ায় রামলালা প্রাণ প্রতিষ্ঠা উদযাপন সমিতি ২২ ফুটের রামলালার মূর্তি তৈরি করে। তাকে ঘিরে এলাকায় উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ২২ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পূজা অর্চনাও সম্পন্ন হয়।

তারপর কাটতে চলেছে প্রায় একমাস। কিন্তু, রামলালার মূর্তির নিরঞ্জন এখনও হয়নি। ইতিমধ্যে মূর্তির কিছু অংশ ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। কিন্তু এতবড় মূর্তি তুলে নিয়ে গিয়ে নিরঞ্জন করা সম্ভব নয়। তাই হোস পাইপের জল দিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন করার জন্য উদ্যোক্তারা জলপাইগুড়ি দমকল দফতরের দ্বারস্থ হন। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, দমকল দফতরের তরফে এখনও কোনও উত্তর পাননি তাঁরা। আর এতেই তাঁরা আরও সমস্যায় পড়েছেন।

পাশাপাশি একই সমস্যা দেখা দিয়েছে জলপাইগুড়ি গোমস্ত পাড়ায়। সেখানে স্টুডেন্টস অফ জলপাইগুড়ি নামে একটি পূজো কমিটির উদ্যোগে ৫১ ফুট উচ্চতার সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করা হয়। পুজো শেষ হলেও এখনও প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়নি।

রামলালা প্রাণ প্রতিষ্ঠা সমিতির আহ্বায়ক মানস মুস্তাফি বলেন, “আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। প্রচুর মানুষ মূর্তি দর্শনে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও আমরা মূর্তি নিরঞ্জন করতে পারছি না। দমকল দফতরের প্রয়োজনীয় ফি দিতে প্রস্তুত আমরা। বিষয়টি ইমেল মারফত দমকল দফতরে জানানো হয়েছে।” কিন্তু তারা পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সুডেন্টস অফ জলপাইগুড়ি কমিটির সভাপতি প্রীতম ঘোষ বলেন, “আমরা ৫১ ফুট উচ্চতার সরস্বতী প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য দমকল দফতরে আবেদন জানিয়েছি। আশা করি দু-তিন দিনের মধ্যে নিরঞ্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তবে এখনও অনেকেই এসে প্রতিমা দর্শন করে যাচ্ছে।”

জলপাইগুড়ি দমকল বিভাগের আধিকারিক রামেশ্বর পান্ডে জানান, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন। তাদের নির্দেশ এলেই আমরা কাজ করতে পারব। এখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া আমরা এভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে পারি না।”