Jalpaiguri: দম্পতির আত্মহত্যাকাণ্ডে আরও চাপে সৈকত, জামিন বাতিলের দাবিতে এবার হাইকোর্টে বিজেপি বিধায়ক

Jalpaiguri: আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা বর্তমানে জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। নাম জড়ায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ-সহ আরও দু’জনের।

Jalpaiguri: দম্পতির আত্মহত্যাকাণ্ডে আরও চাপে সৈকত, জামিন বাতিলের দাবিতে এবার হাইকোর্টে বিজেপি বিধায়ক
ফের চর্চা জেলার রাজনৈতিক মহলে Image Credit source: TV-9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Feb 22, 2024 | 11:29 PM

জলপাইগুড়ি: আত্মহত্যাকাণ্ডে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি বিধায়ক। সমাজকর্মী দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় ফের অস্বস্তিতে পড়লেন তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর জামিন খারিজ করার দাবিতে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করলেন বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা সমাজসেবী দম্পতি তথা জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অপর্ণা ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামী আইনজীবী সুবোধ ভট্টাচার্য কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোর শোরগোল শুরু হয়েছিল জেলার রাজনৈতিক মহলে।  

এই ঘটনায় আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা বর্তমানে জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। নাম জড়ায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ-সহ আরও দু’জনের। তাঁরা বর্তমানে জামিনে আছেন। কলকাতা হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর দীর্ঘদিন ফেরার ছিলেন সৈকত চট্টোপাধ্যায়। ১৬ অক্টোবর জেলা CJM আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এরপরেই গত ১ নভেম্বর জামিন দেয় CJM আদালতের বিচারক। সেই জামিন খারিজের দাবিতে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শিখা দেবী।

বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, আমরা সঠিক বিচার পাইনি। তাই অভিযুক্ত সৈকত চট্টোপাধ্য়ায়ের জামিন খারিজ করার দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি আইনের ছাত্র। আইনের প্রতি ভরসা আছে। আদালত বিচার করবে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি সুপ্রতীক সরকারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা উঠলেও ফের তিন তিন সপ্তাহ পর শুনানির কথা বলা হয়েছে।