Jalpaiguri News: জিনিসপত্র নিয়ে দর কষাকষি, ক্রেতাকে বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দিলেন দোকানদার

জানা গিয়েছে, ভাইফোঁটার দিন রাতে জলপাইগুড়ি দিন বাজারে থাকা একটি বালিশের দোকানে সপরিবারে জিনিসপত্র কিনতে যান আপ্পা দাস নামে এক বাঙালি যুবক। জিনিসপত্রর দাম নিয়ে শুরু হয় দর কষাকষি। এতেই বেজায় চটে যান ওই অবাঙালি ব্যবসায়ী। অভিযোগ, এরপর ক্রেতাকে ওই ব্যবসায়ী জলপাইগুড়ি ছেড়ে শিলিগুড়ি গিয়ে বাজার করতে বলেন।

Jalpaiguri News: জিনিসপত্র নিয়ে দর কষাকষি, ক্রেতাকে বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দিলেন দোকানদার
বাঁদিকে বিক্রেতা, ডানদিকে ক্রেতাImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 25, 2025 | 4:26 PM

জলপাইগুড়ি: বাঙালি ক্রেতাকে বাংলাদেশি বলার অভিযোগ। শেষে চাপে পড়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন এক অবাঙালি ব্যবসায়ী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি দিন বাজারে। প্রসঙ্গত, এর আগে ভিন রাজ্যের একাধিক জেলায় গিয়ে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলা বলার জন্য হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। আর এবার খোদ নিজের রাজ্যেই এই ঘটনা। মূলত, জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে দর কষাকষি। আর এতেই ক্ষেপে গিয়ে ক্রেতাকে বাংলাদেশি বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। এরপর ব্যবসায়ীকে চেপে ধরলে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান তিনি।

জানা গিয়েছে, ভাইফোঁটার দিন রাতে জলপাইগুড়ি দিন বাজারে থাকা একটি বালিশের দোকানে সপরিবারে জিনিসপত্র কিনতে যান আপ্পা দাস নামে এক বাঙালি যুবক। জিনিসপত্রর দাম নিয়ে শুরু হয় দর কষাকষি। এতেই বেজায় চটে যান ওই অবাঙালি ব্যবসায়ী। অভিযোগ, এরপর ক্রেতাকে ওই ব্যবসায়ী জলপাইগুড়ি ছেড়ে শিলিগুড়ি গিয়ে বাজার করতে বলেন। এরপর শুরু হয় কথা কাটাকাটি। বিষয়টি ‘জলপাইগুড়ি বাংলা পক্ষকে’ জানায় ওই যুবক। আপ্পা দাস বলেন, “আমি সস্ত্রীক গিয়েছিলাম দোকানে। কিন্তু সেখানে গিয়ে যে জিনিসটা কিনছিলাম সেটা নিয়ে দর কষাকষি হচ্ছিল। তখন দোকানদার আমায় বলল আমি যদি শিলিগুড়ি চলে যাই তাহলে ফ্রি-তে পাব। আমি তখন দোকানদারকে প্রশ্ন করি, আপনি এমন কথা কেন বলছেন? উনি আমায় তখন বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেন।

এরপর বাংলা পক্ষের তরফে দিন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কাছে জানালে তারা বিষয়টি সমর্থন করেননি। আজ দুপুরে ওই দোকানদার সকলের সামনে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন। বাংলা পক্ষের জেলা সম্পাদক অভিষেক মিত্র মজুমদার বলেন, “কালকে আপ্পা ফোন করে বিষয়টি জানায়। ওঁকে বাংলাদেশি বলে। তারপর মানসিকভাবে নির্যাতনও করা হয়। এটা শুনে আমরা সেখানে যাই। যে ব্যক্তি এমনটা বলেছেন তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।