জলপাইগুড়ি: এই মরসুমের প্রথম তুষারপাত সিকিমে। উত্তর সিকিমের ছাঙ্গু ও চোপতা ভ্যালি এদিন সাদা বরফের চাদরে মুড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে তিস্তায় হলুদ সতর্কতা জারি হল। পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির জের। তিস্তায় জল বাড়তে শুরু করেছে। দোমহনি থেকে তিস্তায় বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত অসংক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। একইভাবে তিস্তার মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।
শুক্রবার সকাল থেকেই গজোলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি সেচ দফতরের ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে খবর, এদিন বেলা ১টা নাগাদ ২৭০০ কিউমেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে।
তিস্তায় জলস্ফীতির জেরে রাজগঞ্জ ব্লক, ক্রান্তি, ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের তিস্তাপাড়ের নিচু এলাকাগুলিতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সতর্কতা জারি করার করা হয়েছে।
একটানা বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি শহরের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন। জলপাইগুড়ি ইন্দিরা গান্ধি কলোনি বাজার সংলগ্ন এলাকায় রাস্তায় জল জমার কারণে চরম সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ীরা।
জলপাইগুড়ি সদর মহকুমাশাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী জানান, তিস্তার বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে শুক্রবার শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট, জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিডিওদের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। প্রাথমিকভাবে সমস্ত কর্মীদের হেড কোয়ার্টার না ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এনডিআরএফ ও সিভিল ডিফেন্সকে যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বোয়ালমারি, ময়নাগুড়ির মোতিয়ার চর এলাকায় নদীর জল ঢুকেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে জেলা প্রশাসন। ক্রান্তিতে নামানো হয়েছে এনডিআরএফ।