
জলপাইগুড়ি: প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। তা সত্যি করেই বিগত কয়েকদিন ধরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির ছবি দেখা গিয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায়। ফুঁসছে তিস্তা। বেহাল দশা উত্তর সিকিমেরও। এরইমধ্যে তিস্তা নদীর দোমহনী থেকে হলুদ সতর্কতা উঠে গেলেও মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা।
উত্তরের ৪ জেলার সমস্ত নদীর বন্যা পরিস্থিতি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিতে এদিন থেকেই জলপাইগুড়ি সেচ দফতরে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হল সেন্ট্রাল ফ্লাড কন্ট্রোল রুমের। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলির সমস্ত নদীর বন্যা পরিস্থিতির উপর রাখা হচ্ছে বিশেষ নজর। ভূটানের চুখা, তেন্দ্রু-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কী পরিমাণ জল ছাড়া হচ্ছে তার প্রভাব উত্তরবঙ্গের নদীর উপর কীভাবে পড়ছে তার যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে এই সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম থেকে।
কন্ট্রোল রুম যদিও বলছে, জলপাইগুড়িতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। একদিন আগেও তিস্তা নদীর দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। জলস্তর নেমে যাওয়ায় এদিন সকাল ৭টায় তা তুলে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে এদিন সকাল ৬টায় জল ছাড়া হয়েছে ২৬৮৭ কিউমেক। সকাল ৮ টায় জল ছাড়া হয়েছে ২৮২৭ কিউমেক। ফলে ফের নতুন করে বাড়তে পারে জলস্তর। অপরদিকে জলঢাকা নদীতেও হলুদ সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়েছে। হাওয়া অফিস বলছে রবিবারেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে উত্তরবঙ্গে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং জেলাতে। বাকি জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম।