
জলপাইগুড়ি: জমা জল চা গাছের শত্রু। কারণ চা গাছের গোড়ায় জল জমলে চা গাছ মরে যায়। কিন্তু এবার বন্যায় ময়নাগুড়ি ব্লকের চারের বাড়ি গ্রামে এখন বিঘের পর বিঘে চা বাগান জলের তলায়।
ভূটান পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির কারণে জলস্তর বেড়ে গিয়েছে পাহাড়ি নদীগুলিতে। জলঢাকা হল তার মধ্যে অন্যতম নদী। আর প্রবল জলের চাপে বাঁধ ভেঙে হু-হু করে জল ঢুকে যাচ্ছে ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের চারের বাড়ি গ্রামে। ভেসে গিয়েছে বিঘের পর বিঘে চাষের জমি। পাশাপাশি ওই এলাকার বেশ কিছু ছোট চা বাগানেও রয়েছে জল। আর এতেই মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের।
এই অঞ্চলের ক্ষুদ্র চা চাষি সুকলাল সরকার। তিনি কয়েক বিঘা জমিতে চা গাছের চারা লাগিয়েছেন। গত তিন বছর ধরে লালন পালন করেছেন। এইবার প্রথম চা পাতা তোলেন। এখন ছিল অটাম ফ্ল্যাশ। হরপা বান এসে সব শেষ করে দিল। এই অবস্থায় সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তাঁরা। সুকলাল বলেন, “এর আগে এমন কখনও হয়নি। চার বছর ধরে গাছের পরিচর্যা করেছি। মনে হয়েছিল যে এবার চা পাতা তুলতে পারব কিন্তু বন্যা হয়ে গেল। আর এটা চা গাছের জন্য় খুবই ক্ষতিকর। জল দাঁড়ালে চা গাছ তো মরে যাবে।”
ঘটনায় ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, তিস্তা ও জলঢাকা নদীর বন্যায় ময়নাগুড়ি ব্লকে চাষবাসের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির হিসেব করা হবে। কৃষকদের পাশে অবশ্যই থাকবে সরকার ও পঞ্চায়েত সমিতি। ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুমুদ রঞ্জন রায় বলেন, “এই মরশুমে এই ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় অত্যন্ত ক্ষতি করে।”