
জলপাইগুড়ি: বেজি শিকার ও ভক্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার এক যাযাবর। ধৃত ব্যক্তিকে আজ মঙ্গলবার মেখলিগঞ্জ আদালতে তুলল বন দফতর। বন্যপ্রাণী হত্যার অপরাধে গ্রেফতার করা হয় ওই যাযাবর সম্প্রদায়ের প্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে। বেজি, পাখি, সাপ সবই খেয়ে নিচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে মেখলিগঞ্জ আদালত।
ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হলদিবাড়িতে। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই যাযাবরদের একটি দল (সাত থেকে আট জন যুবক ও এক বৃদ্ধ) হলদিবাড়ি শহরের পাইকারি টমেটো বাজারের সংলগ্ন এলাকায় বেজি, গো সাপ, বিভিন্ন ধরনের পাখি ইত্যাদি শিকার করে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করছিলেন তাঁরা।
অভিযোগ আসে হলদিবাড়ি বন দফতরে। খবর পেয়ে ADFO বিজন কুমার নাথ টিম নিয়ে গিয়ে সেখানে হানা দেয়। তাঁদের দেখে যাযাবর যুবকদের দল পালিয়ে যায়। কিন্তু পালাতে পারেননি ওই বৃদ্ধ। এরপর তাঁকে বমাল গ্রেফতার করে হলদিবাড়ি বন দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
বন দফতর সূত্রের খবর অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম, ডোমরা মাহাত (৫৫)। তাঁর বাড়ি বিহারের কিষাণগঞ্জের সমস্তিপুরে। অভিযুক্তকে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ডোমরা মাহাত তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা বেজি শিকার করে রান্না করে খাচ্ছিলাম।”
পরিবেশপ্রেমী সংগঠন স্পোরের সদস্য সুমন দাস বলেন, “আমরা পরিবেশ রক্ষায় লাগাতার প্রচার করে আসছি। বন্যপ্রাণী হত্যা করলে জেল জরিমানা হতে পারে, এই সচেতনতাও লাগাতার করে আসছি। প্রচুর মানুষ সচেতন হলেও একাংশ মানুষ কিছুতেই সচেতন হচ্ছে না। এই প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ গ্রেফতার হয়েছে। আমাদের খারাপ লাগছে। কিন্তু পাশাপাশি এটাও দেখতে হবে যে এইসমস্ত প্রাণী পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই এদের বাঁচিয়ে রাখাও জরুরি।
ADFO বিজন কুমার নাথ টেলিফোনে জানিয়েছেন ধৃতকে মঙ্গলবার মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালতে তোলা হবে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।