Jalpaiguri Flood Situation: রাতভর বৃষ্টিতে জল থইথই জলপাইগুড়ি, দুপুরের পর জলস্তর বাড়ার সম্ভাবনা
Jalpaiguri Flood Situation: এদিকে সোমবার থেকেই স্কুল খুলছে। খুদেগুলোর অবস্থা তথৈবচ। তাদের তো একেবারে হাঁটু অবধি জল। পিঠে ব্যাগ, জলের মধ্যে তাদের স্কুলে যেতে ভীষণ খারাপ অবস্থা।
জলপাইগুড়ি: রাতভর এক টানা বৃষ্টিতে জল থইথই জলপাইগুড়ি। রবিবার রাত থেকে এক নাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছে জলপাইগুড়িতে। গত ২৪ ঘন্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির পরিমাণ ১৮৫.৪০ মিলিমিটার। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে জলপাইগুড়ি পৌরসভার ২৫ টি ওয়ার্ড। তার মধ্যে কয়েকটি এলাকার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ।
বিশেষ করে নীচু এলাকায় বৃষ্টির জল ঢুকে গেছে ঘরগুলিতেও। সব মিলিয়ে সপ্তাহের প্রথম দিন ভোগান্তির শিকার হয়েছেন পুরবাসীরা।
এদিকে সোমবার থেকেই স্কুল খুলছে। খুদেগুলোর অবস্থা তথৈবচ। তাদের তো একেবারে হাঁটু অবধি জল। পিঠে ব্যাগ, জলের মধ্যে তাদের স্কুলে যেতে ভীষণ খারাপ অবস্থা। এদিন বাবার পিঠে চেপে বাচ্চাদের স্কুলে যেতে দেখা গিয়েছে।
অপরদিকে জলমগ্ন পরিস্থিতিতে বিক্ষুদ্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ি ২ নং ঘুমটি সংলগ্ন এলাকায় রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে বটে, তবে তা দ্রুত কতটা কার্যকরী হয়, সেটা নিয়ে সন্ধিহান স্থানীয় বাসিন্দারাই।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এক দিনের বৃষ্টিতেই এই অবস্থা। গোটা বর্ষাকাল তো পড়ে রয়েছে। ফি বছর আমাদের এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাদের বারংবার বিষয়টি বলেছি। দেখা হচ্ছে, দেখব… এই আশ্বাসও বহু মিলেছে। কিন্তু কাজ কতটা হয়েছে, তার প্রমাণ তো হাতেনাতে দেখতেই পাচ্ছেন।”
অপরদিকে সেচ দফতরের ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গিয়েছে, তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকা অর্থাৎ দোমহনী থেকে বাংলাদেশে হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। সোমবার সকালে তিস্তা ব্যারেজ থেকে ১২০০ কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে।
ফলে দুপুরের পর অসংরক্ষিত এলাকায় আরও জলস্তর বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। জলঢাকা নদীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোনওরকম সতর্কতার খবর নেই।
জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ধূপগুড়িতে। ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটা আগামী জাতীয় সড়কে এক হাঁটু জল, জল থইথই অবস্থা শহরে।