Malbazar Flash Flood: ‘শকুনের রাজনীতি করছে’, শুভেন্দুর টুইট নিয়ে খোঁচা কুণালের
Mal: বৃহস্পতিবার টুইটারে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, 'জলপাইগুড়ির ঘটনার পর ১২ ঘণ্টা কেটে গেল, দুর্ভাগ্যবশত মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর দফতর এই ইস্যুতে এখনও ঘুমোচ্ছে।'
কলকাতা: দশমীর রাতে জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারের মাল নদীতে হড়পা বানে মৃত্যু হয় আটজনের। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই টুইট করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্য, “বিরোধী দলনেতা যেটা করছেন, অত্যন্ত কুরুচিকর শকুনের রাজনীতি।”
বৃহস্পতিবার টুইটারে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘জলপাইগুড়ির ঘটনার পর ১২ ঘণ্টা কেটে গেল, দুর্ভাগ্যবশত মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর দফতর এই ইস্যুতে এখনও ঘুমোচ্ছে। যাঁরা নিখোঁজ তাঁদের নাম, বিস্তারিত নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা আছে।’
এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “অত্যন্ত কুরুচিকর শকুনের রাজনীতি, যেটা বিরোধী দলনেতা করছেন। মাল বাজারে প্রসেস চলছে। কাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি তারও সন্ধান চলছে। শুভেন্দুর কাছ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজসেবা শিখবেন? এগুলি চিরকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে এসেছেন। এটা শুভেন্দুকে শেখাতে হবে না। শুভেন্দু যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায়। যারা মারা গেছেন সেখানে বড় প্রসেস চলছে। সেখানে দাঁড়িয়ে এই টুইট।”
12 hours have passed since the Jalpaiguri mishap. Unfortunately CM & CMO seem to be sleeping on the issue. # Rescue operations have been stopped since 5 am # No clarity on the details & number of missing persons # No announcement of compensation yet, for the victims’ next of kin
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) October 6, 2022
একইসঙ্গে কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “যমুনাতেও তো এই একই জিনিস হয়েছে। সেখানে গিয়ে এই কথা বলুন না। খারাপ ঘটনা কোথাও যেন না ঘটে। হড়পা বান দুঃখের ঘটনা। কাল বলা হচ্ছে দেখুন, পুলিশ বলছে জল থেকে সরে দাঁড়াতে। সেখানে বারবার প্রচার হয়েছে জল বাড়ছে সরে যান। বিসর্জনের সময় প্রশাসনের সতর্কবার্তা শোনেননি। সেখানে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। অথচ এই ঘটনা ঘিরে কুরুচিকর কথা।”
কুণাল ঘোষের কথায়, এই ঘটনায় প্রশ্ন তোলার পাল্লা চলছে। কুণালের সংযোজন, এমনও শুনতে হচ্ছে, নদীতে কেন বিসর্জন? কুণাল বলেন, “তবে কি কুমোরটুলি তে রেখে আসা হবে মূর্তি? জল বাড়লে মানুষকে সরে যেতে বলা হয়। অনেকে সরেনি। অনেকে বিপদের কাছাকাছি গেছেন। প্রশাসন বাকিটা দেখছে। ন্যূনতম ফাঁক থাকলেও তা চিহ্নিত করার কাজ চলছে।”