জলপাইগুড়ি : বিয়ের আগে হবু বরের সঙ্গে সহবাস করতে না চাওয়াতেই কি খুন (Murder) হতে হল? নাদিমা খুনের ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর মোড়। পুকুর ছেঁকে মৃতের মোবাইল এবং ওড়না উদ্ধার করল পুলিশ। তারপরই উঠছে এই প্রশ্ন। গত বৃহস্পতিবার রাজগঞ্জের সন্যাসীকাটা অঞ্চলে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় স্থানীয় যুবতী নাদিমা খাতুনের। ঘটনায় হবু বর মউমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে খুনের কথা স্বীকার করে মিউমিন। এরপরই মঙ্গলবার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সাহায্য নিয়ে পুকুর ছেঁকে মৃতার মোবাইল এবং ওড়না উদ্ধার করে পুলিশ (Police)। ইতিমধ্যেই তা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর তোড়জোড় চলছে বলে জানা যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পুকুর পাড়ে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল নাদিমা। এরপর হবু বউয়ের দেহ সেই পুকুরের জলে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল মউমিন। প্রমান লোপাট করার জন্য হবু বউয়ের ওড়না ও মোবাইল ফোন ফেলে দিয়ে গিয়েছিল পুকুরের জলে। কিন্তু শেষে রক্ষা হল না। নিজের ফোনের টাওয়ার লোকেশন এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ধরিয়ে দিয়ে মউমিনকে।
এ বিষয়ে রাজগঞ্জ থানার আইসি পঙ্কজ সরকার টেলিফোনে জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আমরা জানতে পারি নাদিমাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। যদিও ঘটনার পরেই মউমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। ঘটনার সময় সে কোথায় ছিল তাও জানতে চাওয়া হয়। যদিও সব প্রশ্নেরই সে অসংলগ্ন উত্তর দেয় বলে জানায় পুলিশ। পরবর্তীতে মোবাইল টাওয়ার লোকেশনে দেখা যায় ঘটনার দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর রাত পর্যন্ত হবু বউয়ের বাড়ির সামনেই ছিল সে। এরপর থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই নিজের অপরাধ স্বীকার করে মউমিন। জেরায় মউমিন আরও জানায় বিয়ের আগেই নাদিমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়েছিল সে। কিন্তু রাজি ছিল না নাদিমা।
পুলিশি জেরাতেই সে জানায়, শারীরিক সম্পর্কের ইচ্ছাতেই সে ওই রাতে নাদিমার কাছে ছুটে গিয়েছিল। কিন্তু, নাদিমা রাজি না হওয়ায় রাগের মাথায় খুন করে তাঁর দেহ পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়। প্রমান লোপাট করতে ওড়না ও মোবাইল ফোন ফেলে দিয়ে যায় পুকুরের জলে। সন্দেহের তীর যাতে তাঁর দিকে না যায় তার জন্য দেহ উদ্ধারের পর থেকে দেহ করব দেওয়া পর্যন্ত পরিবারের পাশেই ছিল সে। নাদিমার মৃত্যুতে দুঃখও প্রকাশ করে। এদিকে নাদিমা খুনে তাঁর ভাই মনোয়ার হোসেন মউমিনের ফাঁসির দাবি করেছেন। ঘটনায় তীব্র চাপানউতর গোটা এলাকাতেই।