
ময়নাগুড়ি: এমনটাও সম্ভব! ভাইয়ের বদলে দাদাকে আগে এক কাপ চা দিয়েছিলেন মা। দাদাকে মা বেশি ভালবাসে তা নিয়ে মানসিক ভাবে অসুস্থ দাদাকে মারধর শুরু করে ছোট ভাই বলে অভিযোগ। এরপর বড় ছেলেকে বাঁচাতে ছুটে যান মা। অভিযোগ, তখনই মহিলাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারেন তাঁর ছোট ছেলে। মাথা দু’ভাগ করে দেয় অভিযুক্ত।
হাড়হিম করা ঘটনাটি রবিবার বিকেলে ঘটেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের শিঙ্গিমারি এলাকায়।মৃত মহিলার নাম সুনীতি রায় (৬৫)। জানা গিয়েছে, মাকে কোপানোর পাশাপাশি দাদা দিলীপ রায়কেও একাধিক কোপ মেরেছে অভিযুক্ত বাপী রায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পাশাপাশি আহত দাদাকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছেন ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ আধিকারিকেরা।
এ প্রসঙ্গে প্রতিবেশী আবু মহম্মদ বলেন, “সুনীতি রায়ের স্বামী একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। উনি গত হওয়ার পর তাঁর পেনশনের টাকায় সংসার চলত। অভিযুক্ত বাপী বিবাহিত। কিন্তু কোনও উপার্জন করত না। মায়ের পেনশন ভোগ দখল করত। আর এই নিয়ে ওদের বাড়িতে নিত্যদিন অশান্তি লেগে থাকত। রবিবার সুনিতি তাঁর বড় ছেলে দিলীপকে চা দিয়েছিল। আর তাতেই ঘটে ঝামেলা।”
পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে জানিয়েছেন,”এই ঘটনার অভিযুক্ত বাড়ির সাইকেল নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে। ময়নাগুড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার ধৃতকে আদালতে তুলে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হবে।”