Death Sentence: মহিলার মুণ্ড কেটে গ্রাম পরিক্রমা, দোষী সাব্যস্তকে মৃত্যুদণ্ড ঝাড়গ্রাম জেলা আদালতের

মুণ্ড কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করতে হাত কাঁপেনি রাধাকান্তর। শুধু নৃশংসভাবে হত্যা করা নয়, সেই কাটা মুণ্ড হাতে নিয়ে গোটা গ্রাম পরিক্রমাও করে রাধাকান্ত।

Death Sentence: মহিলার মুণ্ড কেটে গ্রাম পরিক্রমা, দোষী সাব্যস্তকে মৃত্যুদণ্ড ঝাড়গ্রাম জেলা আদালতের
দোষী সাব্যস্ত রাধাকান্ত।

| Edited By: Sukla Bhattacharjee

May 03, 2023 | 11:49 PM

ঝাড়গ্রাম: নামের সঙ্গে কাজের আকাশ-পাতাল ফারাক! নাম রাধাকান্ত। অথচ মুণ্ড কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করতে হাত কাঁপেনি রাধাকান্তর। শুধু নৃশংসভাবে হত্যা করা নয়, সেই কাটা মুণ্ড হাতে নিয়ে গোটা গ্রাম পরিক্রমাও করে রাধাকান্ত। ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের ২০১৭ সালের এই ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছিল। সেই ঘটনাতেই পাঁচ বছর পর রাধাকান্তকে মৃত্যুদণ্ড (Death Sentence) দিল ঝাড়গ্রাম জেলা আদালত (Jhargram district court)।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল এলাকার নয়াগাগ্রামের বাসিন্দা রাধাকান্ত বেরা ওই গ্রামেরই তরুবালা বেরাকে গ্রামের একটি শিব মন্দির নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ডাইনি অপবাদেই তরুবালা বেরা নামে ওই মহিলাকে রাধাকান্ত নৃশংসভাবে হত্যা করে বলে অভিযোগ। একেবারে ওই মহিলার দেহ থেকে মুণ্ডু কেটে বাদ দিয়ে দেয়। তারপর সেই কাটা মুণ্ডু এক হাতে নিয়ে গোটা এলাকা পরিক্রমা করে। এই ঘটনায় রাধাকান্ত সহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে সাঁকরাইল থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে চলা এই মামলায় মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।

দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে এদিন এই হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত রাধাকান্ত বেরাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। ঝাড়গ্রাম সেশন আদালতের ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক জীমুত বাহন বিশ্বাস রাধাকান্ত বেরাকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে, এই মামলায় অভিযুক্ত আরও ৩ জনকে মুক্তি দিয়েছে আদালত। এদের বিরুদ্ধে তরুবালা বেরাকে হত্যায় সাহায্য করার অভিযোগ থাকলেও সেরকম কোনও প্রমাণ মেলেনি। ফলে তাদের মুক্তি দিয়েছে আদালত।