কলকাতা: ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যু। ঝাড়গ্রামের একটি হোটেলের ঘর থেকে দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দীপ্র ভট্টাচার্য, তিনি ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের সিনিয়র রেসিডেন্ট। থ্রেট কালচার নিয়ে দীর্ঘদিনের প্রতিবাদী ছিলেন ওই চিকিৎসক। তাঁর এই অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে।
আরজি করের প্রাক্তনী দীপ্র ভট্টাচার্য ছিলেন সিনিয়র অ্যানেস্থেসিস্ট। তিনি ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তিনি একটি হোটেলে থেকে কাজ করতেন। সেই হোটেল থেকেই চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১৩ মিনিট নাগাদও হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিস্ট চিকিৎসকদের গ্রুপে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন। তিনি সেই পোস্টে লিখেছিলেন, বছর দেড়েক আগেও তিনি আরজি করে ছিলেন। আরজি করের চিকিৎসক-অধ্যাপকদের একাংশের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারে মদত দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। চাকরি বাঁচাতে ওই চিকিৎসক-অধ্যাপকরা দুর্নীতিতেও মদত দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন।
জানা যাচ্ছে, বেলা ১২.১৩ মিনিটে তিনি যখন হোয়াটস অ্যাপে ওই মেসেজ পাঠান, তখন তা দেখে তাঁর সহকর্মীরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। ফোন সুইচ অফ ছিল। যাঁরা জানতেন দীপ্র কোথায় থাকেন, তাঁরাই সেখানে পৌঁছন। হোটেলের ঘরের দরজা ভেঙে দেখা যায় দীপ্রর নিথর দেহ।
এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক সংগঠনের নেতা উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি তাঁর নোটটা দেখেছি। আমাদের এই সময়ে যে আন্দোলনটা চলছে, তার প্রতি শব্দই ওই নোটে রয়েছে। আমরা খুবই মর্মাহত। এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা, তা তদন্ত সাপেক্ষ। আপাতত ময়নাতদন্ত চলছে।”