ঝাড়গ্রাম: দেশ জুড়ে চলা ডাক্তারদের আন্দোলনের মাঝেই চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য। ঝাড়গ্রামে লজের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র রেসিডেন্ট দীপ্র ভট্টাচার্যের দেহ। চিকিৎসকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁর পাঠানো মেসেজ ঘিরে জল্পনা বেড়েছে আরও। থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে যিনি সরব হয়েছিলেন, সেই দীপ্র তাঁর শেষ মেসেজেও লিখে গিয়েছেন থ্রেট কালচারের কথা! এবার সামনে এল তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। রহস্য বাড়ল আরও।
বৃহস্পতিবার রাতেই ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে আসে। সেখানে বলা হয়েছে, ওই চিকিৎসকের শরীরে কোনও কিছু একটা ইনজেক্ট করা হয়েছে, যার জন্য মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়ে মৃত্যু হয়েছে দীপ্রর। এখনও ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসেনি। রিপোর্ট সামনে এলে মৃত্যুর কারণ আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গ্রপে পাঠানো শেষ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে তিনি লিখেছিলেন, বছর দেড়েক আগেও তিনি আরজি করে ছিলেন। অধ্যাপকরাও চাকরি বাঁচাতে দুর্নীতিতে মদত দেবেন। তিনি আরও লেখেন, “যদি আন্দোলনরত ডাক্তারদের ফেল করিয়ে দেওয়া হয় বা কেউ থ্রেট দেয়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে আমার আত্মা তাড়া করে বেড়াবে, ছিন্ন ভিন্ন করে দেবে।”
শুধু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নয়, নিজের স্ত্রীকেও একটি মেসেজ করেছিলেন ওই চিকিৎসক। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে করা মেসেজে ব্যক্তিগত, পেশাগত বিষয়ে নানা কথা বলেছেন ওই চিকিৎসক। সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, দীপ্র ভট্টাচার্য ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন, ওষুধও খেতেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মানসিক অবসাদেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই চিকিৎসক। তাঁর শরীরে কী ইনজেক্ট করা হয়েছিল, সেই প্রশ্নের উত্তর চান তদন্তকারীরা।