ঝাড়গ্রাম: পিছনে তখন মেদিনীপুরের পুলিশ। সামনে পথ আটকে দাঁড়িয়ে ঝাড়গ্রামের পুলিশ। উপায় না দেখে গাড়ি থেকে নেমে ছুট দিয়েছিল ডাকতদল। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। ডাকাতদের ধরতে ততক্ষণে আকাশে ড্রোন ক্যামেরা ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তাতেই ট্র্যাক হয়ে যায় গোটা দৃশ্য। ডাকাতির ৬ ঘণ্টার মধ্যে গোটা ডাকাত দল ধরা পড়ে যায় পুলিশের হাতে। পুলিশের এই রুদ্ধশ্বাস অভিযান নিয়েই জোর চর্চা দুই জেলায়।
ডাকাতির ঘটনার কিনারা করতে কার্যত দুই জেলাই ঘিরে ফেলে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, খড়্গপুরে ডাকাতির পর ওড়িশার দিকে পালানোর চেষ্টা করছিল ডাকাতরা। তৈরি হয়ে গিয়েছিল রুট। খড়্গপুর থেকে গোপীবল্লভপুর হয়ে ওড়িশার দিকে পালানোর ছক ছিল তাঁদের। কিন্তু, সেই খবর আগেই যায় পুলিশের কাছে। এরপরই খড়্গপুর থেকে ঝাড়গ্রামগামী সমস্ত রাস্তায় শুরু হয় জোরদার নাকা চেকিং। এদিকে ততক্ষণে খড়্গপুর ছেড়ে গোপীবল্লভপুরের দিকে রওনা হয়েছে ডাকাতেরা। গোপীবল্লভপুরে তখন পথ আটকে দাঁড়িয়ে ঝাড়গ্রাম পুলিশ। পিছনে তখন ধাওয়া করছে মেদিনীপুরের পুলিশ।
পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম সীমানা লাগোয়া গোপীবল্লভপুর থানার রান্টুয়া চকে নাকা চেকিংয়ের সময় ফাঁদে পড়ে যায় ডাকাত দল। উপায় না দেখে গাড়ি থেকে নেমে গোপীবল্লভপুরে রান্টুয়া চোরমুড়ি গ্রামের দিকে পালাতে শুরু করে ডাকাতরা। কিন্তু, শুরু থেকেই তৎপর পুলিশ। শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। ততক্ষণে আকাশে উড়েছে পুলিশের ড্রোন। তাতেই কেল্লাফতে। দেখা যায় কোন পথে পালাচ্ছে ডাকাতদল। মুহূর্তেই তাঁদের পাকড়াও করে ফেলে পুলিশ। আটক করা হয় চারচাকা গাড়িটিকে। উদ্ধার হয় বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র। এই গাড়ি ও আগ্নেয়াস্ত্রই ডাকাতির সময় ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।