ঝাড়গ্রাম: ফের নতুন মামলায় কুড়মি আন্দোলনের নেতা তথা শিক্ষক রাজেশ মাহাতকে ‘শোন অ্যারেষ্ট’ করল পুলিশ। জাম্বনী থানার পুলিশ রাজেশ মাহাতো ও কুড়মি আন্দোলনের আরেক নেতা শিবাজী মাহাতকে ‘শোন অ্যারেস্টের’ আবেদন জানিয়ে ঝাড়গ্রাম সিজিএম আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত তা মঞ্জুর করে। প্রসঙ্গত, ৭ এপ্রিল ‘ঘাঘরা ঘেরা’ কর্মসূচিতে সাইকেল র্যালি করেছিলেন কুড়মি আন্দোলনকারীরা। সেখানে পুলিশ বাধা দিলে ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার অভিযোগ ওঠে। কুড়মি আন্দোলনের নেতা রাজেশ মাহাত-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলাতেই রাজেশ মাহাত ও শিবাজী মাহাত ‘শোন অ্যারেস্ট’ করতে চায় জাম্বনী থানার পুলিশ। বুধবার আদালতের দ্বারস্থ হয় পুলিশ। ধৃতদের বুধবার ঝাড়গ্রাম সিজেএম আদালতে পেশ করা হলে, বিচারক তা মঞ্জুরও করেন।
সরকারি পক্ষের আইনজীবী বলেন, “জাম্বনীর একটি পুরনো মামলা। রাজেশ মাহাত, শিবাজী মাহাতর নেতৃত্বে কুড়মিরা মিছিল করছিলেন। সেখানে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়। পুলিশকে হেনস্থা করা হয়। তার ভিত্তিতে মামলা হয়। ঝাড়গ্রাম থানায় রাজেশ-শিবাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। কেস নম্বর ১৪০। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়ে জুডিশিয়াল কাস্টডিতে ছিলেন। পুরনো কেসে তাঁদেরকে শোন অ্যারেস্ট করার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। তা আদালত মঞ্জুর করেছে।” এদিন আদালতে পেশের সময়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে রাজেশ মাহাত বলেন, “মিথ্যা মামলায় পুলিশ ফাঁসাচ্ছে। তবে আন্দোলন চলবে।”
প্রসঙ্গত, গড়শালবনিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলার পরই গ্রেফতার করা হয় রাজেশ মাহাতকে। ঘটনার পরই কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতর নাম প্রথম সামনে এনেছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। এরপরই আসে রাজেশ মাহাতর বদলির নির্দেশ। তিনি বর্তমানে খড়্গপুরের বানাপুরে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তাঁকে উত্তরবঙ্গের একটি স্কুলে বদলি করা হয়েছে। তাঁকে পাঁচ দিনের মধ্যে পুরনো স্কুল ছাড়তে হবে। তার তিন দিনের মধ্যে নতুন স্কুলে যোগ দিতে হবে। রাজেশ মাহাতকে আইনি লড়াইয়ের পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এও আশ্বস্ত করেছেন, প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে রাজেশ মাহাতকে সাহায্য করবেন তিনি। শুভেন্দুর কথায়, “আমি বলব এই যে প্রতিহিংসাপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি আইনি লড়াই লড়ুন। যদি নিজে পারেন ঠিক আছে। তা না হলে আইনি লড়াইতে বিরোধী দলনেতার সাহায্য দরকার হলে, আমি করব।” রাজেশ মাহাত এবার কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই দেখার।