Kaliganj By Election: ‘চোখের সামনে জলে পড়লেন আর উধাও হয়ে গেলেন’, ভোটই দিতে যেতে পারলেন না ২৫০ ভোটার! কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে যা ঘটল, তা বাংলার নির্বাচনী ইতিহাসে প্রথম

Kaliganj By Election: ফুলবাগান চৌধুরীপাড়া গ্রাম। ভাগীরথী নদীর একপাড়ে এই গ্রাম। ২৬৫ ভোটার থাকলেও, গ্রামে নেই বুথ। তাই যে কোনও ভোটের দিন নদী পার করে এপারে এসে বুথে ভোট দিতে হয় গ্রামের বাসিন্দাদের।

Kaliganj By Election: চোখের সামনে জলে পড়লেন আর উধাও হয়ে গেলেন, ভোটই দিতে যেতে পারলেন না ২৫০ ভোটার! কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে যা ঘটল, তা বাংলার নির্বাচনী ইতিহাসে প্রথম
বিপাকে পড়েছে ভোটাররাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 19, 2025 | 1:38 PM

কালীগঞ্জ:  রহস্যজনকভাবে নদীতে পড়ে নিখোঁজ নৌকার মাঝি। বন্ধ নৌকা চলাচল। চরম বিপাকে কালীগঞ্জ বিধানসভার ফুলবাগান চৌধুরী পড়ার ২৫০ জনেরও বেশি ভোটার।

ফুলবাগান চৌধুরীপাড়া গ্রাম। ভাগীরথী নদীর একপাড়ে এই গ্রাম। ২৬৫ ভোটার থাকলেও, গ্রামে নেই বুথ। তাই যে কোনও ভোটের দিন নদী পার করে এপারে এসে বুথে ভোট দিতে হয় গ্রামের বাসিন্দাদের। উপনির্বাচনে দিন সকাল থেকেই গ্রামবাসীরা ভোট দিতে আসার জন্য উদ্যোগী হয়। কিন্তু নদী পারাপারের জন্য নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়ে ভোটাররা। কিছু গ্রামবাসী দুর্যোগ মাথায় নিয়ে দীর্ঘ পথ ঘুরে ঘুরে কাঁদা পথ পেরিয়ে নদী পার করে ভোট দিতে এপারে পৌঁছেছেন। কিন্তু গ্রাম কীভাবে ফিরে যাবেন তা নিয়েও দুশ্চিন্তার মধ্যে গ্রামের মহিলারা।

খবর পেয়ে বেলা ১২ টা নাগাদ এলাকায় পৌঁছয় বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষ। এত সংখ্যক মানুষ ভোট দিতে আসতে পারছেন না, নির্বাচন কমিশন কোনও রকম উদ্যোগ নিচ্ছে না বলেই অভিযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী। পাশপাশি তাঁর দাবি, ভোটের দিনে জলে পড়ে নৌকার মাঝি নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এটা নেহাত দুর্ঘটনা নয়, এটা একটা রহস্যজনক ঘটনা।

বিজেপি ভোটারদের বুথমুখী হওয়া থেকে বিরত করার উদ্যেশ্যে ষড়যন্ত্র হতে পারে বলে অভিযোগ। গ্রামে আটকে থাকা ভোটারদের বুথে পৌঁছে ভোট দেওয়ার জন্য নৌকার ব্যবস্থা করার বিষয়ে উদ্যোগী হন বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষ। তিনি বলেন, “হঠাৎ মাঝি জলে পড়ে যায়। এখনও নিখোঁজ। ভোটাররা আটকে পড়েছেন। ভোটারদের কীভাবে আনব, সেটাই দেখছি। এখনও পর্যন্ত কমিশনের তরফে কোনও উদ্যোগ দেখিনি।”

গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, “ফুলবাগানের স্কুলেই আমাদের ভোট হয়। একটা ছেলে জলে ডুবে গিয়েছে। নৌকো নেই। এখন প্রায় ২০০ মতো লোক আগ ভোট দিতে যেতে পারছে না।”

বুথের এক সদস্য বলেন, “নৌকো ভাড়া করেই আমাদের ভোটারদের আনত হয়। প্রথম ক্ষেপে ২-৪ এসেছে। পরেরবার আমরা নৌকয় আসছি। মাঝিও বসেছিল। চোখের সামনে দেখলাম, নৌকোটা হঠাৎ ঘুরে গেল, মাঝি পড়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গেই তলিয়ে গেল। এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”