মালদহ: দুই মহিলার শ্লীলতাহানির ঘটনায়, অবশেষে তৎপর হল পুলিশ প্রশাসন। ঘটনার ৯ দিন পর ক্লোজ করা হল আইসি সহ চার পুলিশ আধিকারিককে। পুলিশ সুপারের এই পদক্ষেপে খুশি নির্যাতিতারা। এই ঘটনায় প্রথমে নির্যাতিতাদেরই গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে জামিন পান তাঁরা। বামনগোলা থানার আইসি জয়দীপ চক্রবর্তী, পাকুয়াহাট পুলিশ ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস, তদন্তকারী অফিসার এবং এক এএসআই-কে ক্লোজ করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
দুই নির্যাতিতা মহিলার বয়ানও রেকর্ড করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই জাতীয় মহিলা কমিশন এবং তপশিলি কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন মালদহের নির্যাতিতা দুই মহিলা। দুই কমিশনই তদন্ত শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে পুলিশ সুপারের কাছে।
অভিযোগ, গত ১৮ জুলাই বাজারের মধ্যে ওই দুই মহিলাকে মারধর করা হয় ও তাঁদের শ্লীলতাহানিও করা হয়। মারধরের পর তাঁদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে ১৯ জুলাই থানা ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। গ্রেফতারও করা হয় তাঁদের। থানা ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছিল। পরে মালদহ জেলা আদালত ওই দুই নির্যাতিতার জামিন মঞ্জুর করে।