
মালদহ: গৃহবধূর আচরণ নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। পরকীয়ার অভিযোগ করেছিলেন স্বামী ও শ্বশুর। এমনকি বিয়ের এক বছরের মাথায় গৃহবধূর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলে গ্রামে বসে সালিশি সভা। আর সেই সালিশি সভায় ছেলের বাড়িকে পৌনে দু’লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়। বিবাহ বিচ্ছেদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। তা মেনে নেওয়ার পরও হামলা। ছেলের বাবাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। মৃতের নাম তাজমুল শেখ (৫০)। ঘটনাটি মালদহের কালিয়াচক থানা এলাকার।
তাজমুলের বাড়ি বামনগ্রাম মোসিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চামাপাড়া এলাকায়। বছর খানেক আগে তাঁর ছেলে ফায়িম শেখের সঙ্গে পাশের হারুগ্রামের একটি মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে গৃহবধূর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে বিবাদ বাধে। এই নিয়ে গ্রামে সালিশি সভা বসে। সেখানে তাজমুল শেখের পরিবারকে মেয়ের পরিবারকে পৌনে ২ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়। বিবাহ বিচ্ছেদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। সালিশি সভার নির্দেশ মেনে নেন তাজমুল শেখ।
মৃতের পরিবারের বক্তব্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় জমিতে কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন তাজমুল ও ফায়িম। সেই সময় হারুগ্রাম বারোবিঘা মাঠের কাছে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী তাঁদের ঘিরে ধরে। এরপরই হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। আশপাশের লোকজন দেখে তাঁদের বাঁচাতে এলে দুষ্কৃতীরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে এলে তাজমুল শেখের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বছর কুড়ির ফায়িম শেখ।
এই ঘটনায় হামলাকারী মেয়ের বাবা রাসিউল শেখ, তাঁর এক আত্মীয় হাসনাত শেখ-সহ একাধিক জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।