Malda Case: গভীর রাতে বৌদির ঘরে ঢুকে ভয়ঙ্কর কাজ দেওরের, কাণ্ড দেখে হতবাক প্রতিবেশীরাও

Malda: পরিবার সূত্রে খবর, ওই ঘটনার পরই এক প্রকার ভয় থেকেই জায়ের কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন জিয়ারুলের স্ত্রী। পরবর্তীতে বাপের বাড়িতেও চলে যান। এদিকে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যাওয়ায় আরও তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে জিয়ারুল। তারপরই এ ঘটনা বলে জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা।

Malda Case: গভীর রাতে বৌদির ঘরে ঢুকে ভয়ঙ্কর কাজ দেওরের, কাণ্ড দেখে হতবাক প্রতিবেশীরাও
চাপা উত্তেজনা এলাকায় Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Dec 23, 2025 | 5:17 PM

মালদহ: অত্যাচারিত দেওরের স্ত্রীকে আশ্রয় দেওয়ায় ভয়ঙ্কর পরিণতি বৌদির। খুপিয়ে খুনের অভিযোগ দেওরের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা মালদহের চাঁচল থানার মহিষামারি গ্রামে। গভীর রাতে বাড়ি থেকেই মাজেদা বিবি (৪০) নামে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত জিয়ারুল হক নামে এক যুবককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। জিয়ারুলের বিরুদ্ধেই দীর্ঘদিন থেকে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। কয়েকদিন আগে সেই অত্য়াচার চরমে ওঠে। 

পরিবার সূত্রে খবর, ওই ঘটনার পরই এক প্রকার ভয় থেকেই জায়ের কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন জিয়ারুলের স্ত্রী। পরবর্তীতে বাপের বাড়িতেও চলে যান। এদিকে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যাওয়ায় আরও তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে জিয়ারুল। অভিযোগ, সেই রাগেই গভীর রাতে তাঁর ঘরে ঢুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন ওই মহিলা। তাঁদের চিৎকারেই ততক্ষণে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ছুটে আসেন। 

পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে মাজেদা বিবি তিন ছেলে রয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন বাবার সঙ্গে ভিন রাজ্যে কর্মরত। খবর পৌঁছেছে তাঁদের কানেও। তাঁরা ফিরে আসছে বলে জানা যাচ্ছে। উত্তেজনার মধ্যে খবর যায় থানায়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে। এলাকার বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলছেন, “রাত একটা নাগাদ ঘটনাটা ঘটে। গলা পুরো কেটে দিয়েছিল। শরীরের নানা প্রান্তেও চার থেকে পাঁচটা কোপ ছিল। আমরা গিয়ে সবটা দেখার পরেই প্রশাসনে ফোন করি। ছেলেটার সঙ্গে ওর বউয়ের ঝামেলা অনেকদিনের। এখন ওর বউ-কে বৌদি আশ্রয় দেওয়াতেই এত ক্ষোভ। খুবই নৃশংসভাবে খুুন করেছে। ছেলেটাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। চাঁচল থানায় আছে। আমরা অভিযুক্তের ফাঁসি চাইছি।”