
মালদহ: সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ৫টি আসন পেয়েছে তারা। এবার লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন। এ রাজ্যে নির্বাচনের মাস পাঁচেক আগে সংগঠন মজুবত করতে কোমর বেঁধে নামল আসাদউদ্দিন ওয়েইসির অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমীন (AIMIM) বা মিম। মালদহে মাটি শক্ত করতে মরিয়া মিম। জেলার সব বিধানসভাতেই প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তারা। মূল ইস্যু হবে তৃণমূলের দুর্নীতি।
মালদহে প্রভাব রয়েছে ওয়েইসির দলের। ভোটের আগে সংসগঠনকে মজবুত করতে সাংগঠনিক সভা করা হচ্ছে জেলার বিভিন্ন ব্লকে। বুথ স্তরেও তৈরি হচ্ছে কমিটি। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, এর আগে এত উৎসাহ দেখা যায়নি কখনও। গ্রামে গ্রামে মানুষের উৎসাহও বেড়েছে অনেক। বিভিন্ন সংগঠনিক সভা থেকে মানিকচক ব্লক মিম-র সভাপতি ও সহ-সভাপতির নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। মালদহ জেলা মিম সভাপতি রেজাউল করিম মানিকচক মিম-র সভাপতি হিসেবে নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা নাবিউল আনসারি এবং চৌকি মীরদাদপুর অঞ্চলের বাসিন্দা শেখ আরজুলের নাম ঘোষণা করেন।
রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের মিম সভাপতি হিসেবে শেখ সজিবারের নাম ঘোষণা করা হয়। জেলা সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, “ছাব্বিশে বিধানসভা নির্বাচনে আমরা মালদহ জেলার প্রতিটি বিধানসভায় প্রার্থী ঘোষণা করব। এদিন মানিকচক ও রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হল। তৃণমূলের দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে জনসাধারণ মিমের দিকে এগিয়ে আসবেন।”
অন্যদিকে মিমের ব্লক সভাপতি দায়িত্ব পেয়ে নাবিউল আনসারি বলেন, “রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। তৃণমূলের দুর্নীতি রয়েছে। এবার তৃণমূল সরে যাবে।” মিমকে ভোট কাটুয়া বলে উল্লেখ করছে রাজনৈতিক নেতাদের একাংশ। এই অভিযোগ মানতে চাননি নাবিউল আনসারি। মিম নেতারা বলছেন, যেসব জায়গায় তাঁদের দলের ভাল সংগঠন রয়েছে, সেখানে তাঁরা লড়াই করবেন।