Bank Robbery: মালদায় দিনেদুপুরে ব্যাঙ্কে চলল গুলি, বোমার শব্দে কাঁপল এলাকা, গুলিবিদ্ধ ম্যানেজার

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 24, 2024 | 7:15 PM

Bank Robbery: ইতিমধ্য়েই ঘটনার হাড়হিম করা সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে, একটি সাদা রঙের চারচাকা গাড়ি এসে দাঁড়ায় ব্যাঙ্কের সামনে। মুহূর্তেই গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে নামে ৮ থেকে ১০ জন যুবক। প্রত্যেকের মুখেই কাপড় বাঁধা।

Bank Robbery: মালদায় দিনেদুপুরে ব্যাঙ্কে চলল গুলি, বোমার শব্দে কাঁপল এলাকা, গুলিবিদ্ধ ম্যানেজার
শোরগোল এলাকায়
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

মালদহ: মালদহের গাজালো দিনেদুপুরে ব্যাঙ্কে ডাকাতি। চলল গুলি। সঙ্গে বোমাবাজি। গুলিবিদ্ধ সমবায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল গোটা জেলায়। ইতিমধ্য়েই ঘটনার হাড়হিম করা সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে, একটি সাদা রঙের চারচাকা গাড়ি এসে দাঁড়ায় ব্যাঙ্কের সামনে। মুহূর্তেই গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে নামে ৮ জন যুবক। প্রত্যেকের মুখেই কাপড় বাঁধা। মুহূর্তেই বন্দুক হাতে ঢুকে পড়ে ব্যাঙ্কের মধ্যে। বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। চলে লুটপাট। দলে থাকা ৮ ডাকাতদের মধ্যে একজন গাজোলের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। বাকিরা চাঁচলের বলে জানা যাচ্ছে। মোট ৭ লক্ষ টাকা লুট হয়েছে।  

ডাকাতি করে পালানোর সময় পুলিশের সঙ্গে সম্মুখ সমরেও নামতে দেখা যায় ওই যুবকদের। দ্রুত অ্যাকশন নেয় গাজল ও মালদহ থানার পুলিশ। চলে গোলাগুলি। যদিও শেষ পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করতে সমর্থ হয় পুলিশ। দুই ডাকাত গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি বলেও জানা যাচ্ছে।

অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থাতে ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুরু হয়েছে চিকিৎসা। ব্যাঙ্কের এক কর্মী বলছেন, “কেষ্টপুর বাসস্ট্যান্ডে আমাদের সমিতি। সেখানেই ছিলাম। যা হয়েছে খুব খারাপ। খুব ভয় লাগছে। সবাই খুব আতঙ্কে রয়েছি। ওই এলাকাতে তো প্রচুর দোকান, বাড়ি রয়েছে। কিন্তু যেভাবে আজ ডাকাতি হয়ে গেল তা ভাবাই যায় না। পুলিশের উচিত আরও নজরদারি বাড়ানো।”  

এ ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা অরিন্দম ভট্টাচার্য। তিনি আবার পুলিশেরই ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। রাগের সুরেই বলছেন, “আইন-শৃঙ্খলা ঠিক আছে কিনা তা দেখার বদলে পুলিশ তো এখন তোলা তুলতে ব্যস্ত। আসানসোল, জামুরিয়া, ডোমজুর, পুরুলিয়া, শান্তিপুর, পুরুলিয়া, দিকে দিকে ডাকাতি হয়ে যাচ্ছে। কী করে সাহস পাচ্ছে ওরা?”  

Next Article