মালদহ: জঙ্গি ঢোকাতে সীমান্তে লাগাতর উস্কানি দিচ্ছে বিজিবি। সোমবার সকালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকেছে ৬ ‘জঙ্গি’। সীমান্তে এই মুহূর্তে টানটান উত্তেজনা। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সক্রিয় মদতে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ! দাবি মালদহের শুকদেবপুরের বাসিন্দাদের। যদিও বিএসএফ-গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সীমান্তপাড়ের এক বাসিন্দা বর্ণনা দেন গোটা ঘটনার। তিনি বলেন, “আজকের একদম তাজা খবর। ভোর চারটের সময়ে ওপার থেকে ৬ জন জঙ্গি ভারতে ঢুকেছে। বিএসএফ তাড়া করেছিল। আমরাও তাড়া করেছিলাম, বিএসএফের সঙ্গে। কিন্তু ধরতে পারা যায়নি। ২ নম্বরি টাকা পাস করাচ্ছে।” কুয়াশাঘন ভোরকেই কাজে লাগাচ্ছে বিজিবি। আর অন্ধকার পরিস্থিতিতে ওপর থেকে অনুপ্রবেশে ক্রমাগত প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বাংলা থেকে বাংলাদেশি জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছেন একাধিকজন। ভারত বাংলাদেশের প্রত্যেকটি সীমান্তে এখন চরম অস্থিরতা।
তারমধ্যেই সীমান্তে মাটি কেটে বাঙ্কার বানাচ্ছে বিজিবি। শুকদেবপুরের সীমান্তে অজস্র সদ্য খোঁড়া মাটির ঢিপি। সীমান্তে তৈরি হয়েছে চূড়ান্ত টেনশন। শুকদেবপুরের উল্টোদিকেই হচ্ছে বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জ এলাকা। এই এলাকা আগেও একাধিকবার শিরোনামে এসেছে। বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের বাড়বাড়ন্ত এই এলাকায়। বিভিন্ন সময়ে এর আগেও সেখান থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে। গোয়েন্দারা বলছেন, এই এলাকা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। জাল নোটের অন্যতম করিডর হিসাবে মালদহ পরিচিত। শিবগঞ্জের দিক থেকে চোরাপাচারের প্রবণতা অত্যন্ত বেশি।
বিজেবি অবশ্য এই ধরনের উস্কানি একাধিক সীমান্তেই দিচ্ছে। সেটা উত্তরের কোচবিহার সীমান্ত হোক কিংবা নদিয়ার কৃষ্ণনগর। কাঁটাতার দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করছে। বিএসএফ-কে লাগাতর উস্কানি দিচ্ছে। বিএসএফের তরফ নেওয়া হচ্ছে পাল্টা স্ট্য়াটেজি।